জন বার্লা। —ফাইল চিত্র।
সুর ‘নরম’ করে মঙ্গলবারই দলের প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে ভোট প্রচারে নামার কথা জানিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। জলপাইগুড়িতে বুধবার বার্লা জানালেন, তিনি টিগ্গার হয়ে প্রচারে নেমেও গিয়েছেন। এবং টিগ্গাকে কী ভাবে জেতাতে হয়, তা তিনি জানেন। তার পরেও অবশ্য এখনই টিগ্গার হয়ে ভোট প্রচারে নামতে নারাজ ‘ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’ বা ‘বিটিডব্লিউইউ’-এর নেতাদের একাংশ। প্রচারের ‘শর্ত’ হিসেবে আগে বিজেপির নির্বাচনি ইস্তাহারে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ও অবসরের বয়স বাড়িয়ে ষাট বছর করার বিষয়টি রাখার দাবি তুলছেন কেউ কেউ। প্রশ্ন তুলেছেন, মূল দলে ‘বিটিডব্লিউইউ’ নেতাদের কেন তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না? ফলে, ভোটের মুখে ‘অস্বস্তি’ যেন কোনও অবস্থাতেই পিছু ছাড়ছে না গেরুয়া শিবিরকে।
বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পরেই মাদারিহাট স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে টিগ্গার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই তোপ দেগে তাঁর হয়ে প্রচারে না-নামার কথা জানিয়েছিলেন বার্লা। তাঁর মতোই প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিটিডব্লিউইউ নেতাদেরও। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় বিটিডব্লিউইউ নেতাদের মান ভাঙাতে ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক তিয়োফিল সোরেঙের বাড়িতে যান টিগ্গা-সহ চার বিধায়ক। তিয়োফিল বলেন, “আমরা বিজেপি প্রার্থীর হয়ে অবশ্যই প্রচারে নামতে রাজি রয়েছি। কিন্তু তার আগে, বিজেপির ইস্তাহারে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ও শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৫৮ থেকে বাড়িয়ে ৬০ বছর করার কথা রাখতে হবে। সে দিন বাড়িতে আসা প্রার্থী-সহ বাকি বিধায়কদের তা জানিয়েছি। একই সঙ্গে বিটিডব্লিউইউ নেতাদের মূল দলে কেন গুরুত্ব দেওয়া হয় না, সেটাও তাঁদের থেকে জানতে চেয়েছি।” টিগ্গা বলেন, “দলে সকলকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। চা শ্রমিকদের নিয়ে ইস্তাহারে যে বিষয় রাখার দাবি তোলা হয়েছে, সেটা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি।”
এ দিকে, দিন কয়েক আগে মাদারিহাট স্টেশনের অনুষ্ঠানে টিগ্গার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই প্রকাশ্যেই বার্লার তোপ দাগার বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসতেই সেই ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়ায়। ইতিমধ্যেই যা প্রচারের হাতিয়ার বানিয়েছে তৃণমূল। যদিও জলপাইগুড়ির তিস্তা পর্যটক আবাসে বার্লা এ দিন বলেন, “তাতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ সব বোঝেন। জন বার্লা প্রচারে নেমে গিয়েছে। ওঁরা নিজের কাজ করুন। আমি আমার কাজ করে ফল দেব। ডুয়ার্স-তরাইয়ে বিজেপিকে কী ভাবে জেতাতে হবে, সেটা জানি।” তিস্তা পর্যটক আবাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভার্চুয়াল’ ‘পিএম সূরজ’ পোর্টালের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বার্লা। তাঁর দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে মানুষ খুবই খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy