(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নওশাদ সিদ্দিকি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের কথাবার্তা না এগোলেও আসন ভাগাভাগি করে ফেলল নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ। রাজ্যে আটটি আসনে প্রার্থী দিতে চায় দল। নাম ঘোষণার পরেও বামেদের একটি আসন নিয়ে শর্ত দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বামেদের সঙ্গে আলোচনার শেষে আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক জানিয়েছেন, প্রথম ২০টি আসনে লড়াই করতে চাইলেও দফায় দফায় আলোচনার শেষে আটটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বসিরহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ও যাদবপুর আসনে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। তবে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিচ্ছে না।
এ ছাড়াও হুগলির শ্রীরামপুর ও হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া আসনে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। উত্তরবঙ্গের কোনও আসনে প্রার্থী না দিলেও মুর্শিদাবাদের দু’টি আসন থেকে লড়তে চায় আইএসএফ। জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ আসন থেকে লড়াই করতে চায় নওশাদ সিদ্দিকির দল।
একটা সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিতে চায় আইএসএফ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চান দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ। ভাঙড়ের বিধায়ক নিজেই জানিয়েছিলেন, দল প্রার্থী করলে তিনি লড়তে তৈরি। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আসনটি সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসএফ। এর পরিবর্তে সিপিএমের পছন্দের আসন যাদবপুর নিয়ে বায়না শুরু করেছে তারা। অনেক আগে থেকেই যাদবপুর আসনে সিপিএম প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করে রেখেছিল। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের পরিবর্তে যাদবপুর আসন নিয়ে দরাদরি শুরু করে আইএসএফ। দলের হয়ে সামসুর জানিয়েছেন, যাদবপুর তাঁরা তখনই সিপিএমকে দেবে যদি সেখানে আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে। তবে ওই আসনে আগে থেকেই সিপিএম অন্য নাম ঠিক করে রেখেছে বলে জানা গিয়েছিল। আইএসএফ জানিয়েছে, তাঁদের শর্ত মেনে বিকাশরঞ্জনকে প্রার্থী করা হলে যাদবপুরের পরিবর্ত হিসাবে তারা বালুরঘাট, ঝাড়গ্রাম, জয়নগরের মধ্যে কোনও একটি আসন বেছে নেবে।
কথা ছিল, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বামফ্রন্টের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হবে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সেই সাংবাদিক বৈঠকের আগেই নিজেদের পছন্দের আসনের নাম ও বিমানদের দেওয়া শর্ত জানিয়ে দেয় আইএসএফ। এর পরে বামফ্রন্টের সাংবাদিক বৈঠক পিছিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে বামফ্রন্টের উপরে চাপ তৈরি করার জন্যই এই পথ নেয় নওশাদের দল। আলোচনার শেষ হওয়ার আগেই নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ্যে এনে দেয় আইএসএফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy