গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তিন দিন ধরে দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে লোকসভা ভোটে আসন রফা চূড়ান্ত হল না বিহারে। এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, পাপ্পু যাদবের জন্য পূর্ণিয়া এবং তারিক আনোয়ারের জন্য কাটিহার লোকসভা কেন্দ্রের দাবি কোনও অবস্থাতেই মানতে চাইছেন না আরজেডি নেতৃত্ব।
বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী বলেছিলেন, ‘‘দু-এক দিনের মধ্যেই আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’ আরজেডির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার পটনায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘মহাগঠবন্ধন’ নেতৃত্ব রফার করা ঘোষণা করবেন। কিন্তু দুই আসন ঘিরে টানাপড়েনের জেরে পুরো প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কাটিহারে চার বারের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিখ এবং পূর্ণিয়ায় সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পুকে লালু-পুত্র তেজস্বী আসন ছাড়তে রাজি না হওয়ায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত অওরঙ্গাবাদে দলের প্রাক্তন সাংসদ নিখিল কুমারকেও লালুর দল আসন ছাড়েনি।
নিখিলের বাবা, বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ছিলেন ওই কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। নিখিলের স্ত্রীও অওরঙ্গাবাদ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু সেখানে একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে আরজেডি। অন্য দিকে, কংগ্রেস জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের জন্য বেগুসরাই আসনটি চাইলেও তা একতরফা ভাবে সিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, আরজেডির তরফে বুধবার জানানো হয়েছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া জেডিইউ বিধায়ক বীমা ভারতীকে পূর্ণিয়ায় টিকিট দেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy