Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে? সরাসরি জানানোর ব্যবস্থা করল নির্বাচন কমিশন

এই প্রথম বারের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ২৯ মার্চ থেকে বাহিনীকে রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৬
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে এখন থেকে সরাসরি তা জানানো যাবে নির্বাচনী আধিকারিককে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। পুরো বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রুটমার্চ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্তও কমিশন নিয়েছে। রাজ্যের কোন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং কোথায় কোথায় তাঁরা রুটমার্চ করছে, এখন থেকে সাধারণ মানুষ তা জানতে পারবেন ঘরে বসেই।

এই প্রথম বারের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ২৯ মার্চ থেকে বাহিনীকে রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ওয়েবসাইট ceowestbengal.nic.in-এ সেই তথ্য প্রকাশিত হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর ‘রুটমার্চ’ নামে একটি অংশে ক্লিক করলেই সবাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সম্পর্কে জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন বুথে রুটমার্চ করানোর উদ্দেশ্য হল ভোটারদের মনে নির্বাচন নিয়ে বিশ্বাস তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচনের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর কমিশনের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করল কমিশন।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি বা দল মনে করে যে, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাচ্ছে না, বা রুট মার্চ করাচ্ছে না, তা হলে জেলার নির্বাচনী আধিকারিক (ডিস্ট্রিক্ট ইলেক্টোরাল অফিসার বা ডিইও)-কে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপও করা হবে।

উল্লেখযোগ্য যে, গত ১৬ মার্চ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে এসে গিয়েছে। ১ মার্চ প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছে আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে তাদের। জেলায় জেলায় তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন জওয়ানেরা। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই আগে থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। তাদের মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। এই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিশন। তার মধ্যেই রুটমার্চ সংক্রান্ত এই নতুন সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 crpf
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy