শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। — নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের কারণে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হল শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান। এ মাসের গোড়ায় নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ার পর এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শনিবার মাঝপথে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হওয়ার পর বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মেয়র গৌতম।
নির্বাচনী আচরণবিধি চালু থাকাকালীন কী ভাবে শিলিগুড়ি পুরনিগমে চলছে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি, এই প্রশ্ন তুলে শিলিগুড়ি পুরনিগম এবং মেয়র গৌতম দেবের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিজেপির অভিযোগ, এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়র। তাতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে। যদিও সেই সময় গৌতম জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়েই তিনি যা করার করছেন। কিন্তু তাতেও সুবিধা হল না। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠান বন্ধের মৌখিক নির্দেশিকা যখন গৌতম জানতে পারেন, তত ক্ষণে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান ৩৫ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই অনুষ্ঠান থামিয়ে দেন গৌতম। তার পর আক্রমণ শানান বিজেপির দিকে। মেয়র বলেন, ‘‘এটা একটা ধারাবাহিক অনুষ্ঠান৷ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই অনুষ্ঠান আমি চালিয়ে যাই। কারণ, এটা নতুন কোনও অনুষ্ঠান নয়। কমিশনের নির্দেশে বলা আছে, নতুন কিছু করা যাবে না। এখানকার বিধায়ক সেটা নিয়ে একটা অভিযোগ করেন। তবে কমিশনের কাছ থেকে আমরা কোনও নির্দেশ পাইনি, তাই আজ অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। মাঝপথেই মৌখিক নির্দেশ আসে অনুষ্ঠান বন্ধের। বলা হয়, এটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে যে, এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা দিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি। তারা কৈফিয়ত চেয়ে পাঠিয়েছি। তার উত্তর পুরনিগম থেকে যাবে। তবে এটা সম্পূর্ণ রাজনীতি করে বন্ধ করে দেওয়া হল। বিজেপির ইন্ধনে এটা হয়েছে। মানুষের সমস্যার কথা এরা ভাবে না। এরা ভোট-পাখি, কেবল ভোটের সময় উদয় হয়।’’
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি অভিযোগ জানিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনকে। আমাদের মেয়র আইনজীবী এবং আইনটা ভালই জানেন বলে তিনি দাবি করেন। তবে আমাদের মতো যাঁরা আইন কম জানে, তারা এটা বুঝেছিল যে, নির্বাচন কমিশনের যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা ভেঙে মেয়র সাহেব এই অনুষ্ঠান করছেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই৷ ভবিষ্যতে আইন বিশেষজ্ঞ মেয়র সাহেবের উচিত নির্বাচনী বিধিনিষেধ মেনে চলা।’’
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির মতোই কলকাতার মেয়রও একই নামের একটি অনুষ্ঠান করে থাকেন। কিন্তু লোকসভা ভোট ঘোষণার পরেই সেই অনুষ্ঠান আপাত ভাবে বন্ধ করে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ভোট মেটার পর আবার তা শুরু হবে। কিন্তু শিলিগুড়ি পুরসভাতে চলছিল ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান। যা বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের জেরে থামিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy