—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মার্চের গোড়ায় রাজ্যে আসতে চলেছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কার্যালয়ে এ নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের। সূত্রের দাবি, সেখানেই প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, রাজ্যের ৩৫টি পুলিশ জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে আপাতত চার কোম্পানি বাহিনী বীরভূমে আসবে। ভোটের অনেক আগে থেকে তাঁরা মানুষের আস্থা বাড়ানোর কাজ করবেন।
সে মতো বীরভূম জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার সাতটি জায়গা কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি জায়গার পরিবর্তনও হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য যে সাতটি জায়গা প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই তালিকা জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে। ওই সাতটি জায়গা হল বোলপুর মহকুমার ‘বাহিরী ব্রজসুন্দরী হাই স্কুল’, নানুর থানার ‘রানিবাজার টিচার্স ট্রেনিং স্কুল’, সিউড়ি মহকুমার দুবরাজপুর থানার অধীন ‘বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসনিক ভবন’, সাঁইথিয়ার ‘পাহাড়িবাবা হাই স্কুল’, মহম্মদবাজার থানার ‘পটেলনগরে কিসান মাণ্ডি’, রামপুরহাট মহকুমার রামপুরহাট থানার ‘বড়শাল হাই স্কুল’ এবং নলহাটি থানার ‘নলহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়’।
জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বুধবার দুপুরে বলেন, ‘‘জেলায় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে সেটা এখন বলতে পারব না। তবে কেন্দ্রীয়
বাহিনী থাকার জন্য আমরা প্রাথমিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।’’ সূত্রের
দাবি, যে সমস্ত স্কুল কেন্দ্রবাহিনীর থাকার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বড়শাল হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার রামপুরহাট থানার চিঠি পেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, রামপুরহাট মহকুমায় ২৫০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের থাকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে জেলা প্রশাসনের অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সাতটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। ফলে, সেই স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে। বড়শাল হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার ব্যাপারেও আপত্তি আছে বলে জানা গিয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। এর পরে লোকসভা নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে মার্চ এবং এপ্রিলেও স্কুল বন্ধ থাকবে। এর পরে মে মাসে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। ফলে স্কুলে ইউনিট টেস্ট কী ভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, রামপুরহাটে বড়শাল হাই স্কুল এবং নলহাটিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে। রামপুরহাটে বড়শাল হাই স্কুলের পরিবর্তে রামপুরহাট ১ ব্লকের কিসান মাণ্ডিতে কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকার ব্যবস্থা করা হতে পারে। নলহাটিতেও ব্লক অফিস সংলগ্ন একটি ভবনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy