হামলা: হাওড়ার ডোমজুড়ের কোরলা এলাকায় এ ভাবেই এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় শাসকদল সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ডোমজুড় ও সাঁকরাইলে তাঁদের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করার পাশাপাশি বোমাবাজিও করছে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, পারিবারিক বিবাদে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই সমস্ত ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নয়।
সিপিএমের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ডোমজুড় এবং সাঁকরাইলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। সিপিএম প্রার্থীর এজেন্ট হওয়ার ‘অপরাধে’ হামলা হয়েছে ডোমজুড়ের কোরলা, কারবালা, বাঁকড়া ও সাঁকরাইলের নতিবপুরে, দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে। অভিযোগ, কোরলায় ভাঙচুর আটকাতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে তৃণমূলের লোকজন। ইটের আঘাতে বাহিনীর এক জওয়ানের হাত ভেঙে যায়। সিপিএমের অভিযোগ, লিলুয়ার বামনগাছিতেও তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
অন্য দিকে, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাঁকড়ার সানাপাড়ার বাসিন্দা ও দলের ডোমজুড় পূর্ব অঞ্চল কমিটির সম্পাদক ফজলুল রহমান সানার বাড়িতে নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরদিন থেকেই তৃণমূল আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। তাদের দাবি, ওই সিপিএম নেতার বাড়ির পাশ দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময়ে গালিগালাজ করা হচ্ছে, ইট ছোড়া হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে খুনের হুমকিও। আরও অভিযোগ, ওই পরিবারের এক সদস্যের চায়ের দোকান ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল। সেই সিপিএম নেতার অভিযোগ, তিনি যে হেতু এলাকার ৩০টি বুথের দায়িত্বে ছিলেন, তাই তৃণমূলের আক্রোশ গিয়ে পড়েছে তাঁর উপরে। এখন তাঁকে এলাকাছাড়া করার চেষ্টা হচ্ছে। ফজলুল বলেন, ‘‘বুধবার রাতে তৃণমূলের ১৫-২০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী বোমা, পিস্তল নিয়ে বাড়িতে আক্রমণ করে, তার পরে বাড়িতে পর পর বোমা ছোড়ে। ভাঙচুর করে বাড়ি লাগোয়া দোকানঘর। ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেও গোটা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।’’
অন্য একটি ঘটনায় অভিযোগ, সাঁকরাইলের নতিবপুর ট্রাক টার্মিনালে যাঁরা সিপিএম করেন, সেই সমস্ত কর্মীকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে আমাদের স্থানীয় নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপরে শারীরিক আক্রমণ না হলেও তাঁদের বাড়ি-ঘর ও পেশার উপরে আক্রমণ হচ্ছে। থানাগুলিকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ব্যবস্থাও নিচ্ছে।’’
আক্রমণের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘হেরে গিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে সিপিএমের তরফে। এ সবই পারিবারিক বিবাদের ঘটনা। তাতে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে। ব্যক্তিগত কারণে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেগুলি রাজনৈতিক ঘটনা বলে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy