জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি এবং বিরোধীদের প্রচারমঞ্চ গত কয়েক দিনে উত্তাল হয়েছে ওভারসিজ় কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদার উত্তরাধিকার কর সংক্রান্ত মন্তব্যকে ঘিরে। গোটা বিষয়টি থেকে দূরত্ব রাখতে কংগ্রেস গতকাল একাধিক বিবৃতি দিলেও মোদী এই পড়ে পাওয়া সুযোগকে আপাতত ছাড়ছেন না। বৃহস্পতিবারও সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
কংগ্রেসের ইস্তাহারের সমর্থনে পিত্রোদা ধনবণ্টনের অসাম্য প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, আমেরিকার আইনে কোনও ব্যক্তির ১০ কোটি ডলারের উত্তরাধিকার থাকলে তার ৪৫ শতাংশ সন্তানেরা পান, ৫৫ শতাংশ নেয় রাষ্ট্র। এই আইনের প্রশংসা করে ভারতের আইনের সঙ্গে তুলনাও করেন তিনি।
আজ মধ্যপ্রদেশের মোরেনায় নির্বাচনী প্রচারে মোদী বলেন, “উত্তরাধিকার কর নিয়ে যে তথ্য উঠে আসছে, তা চোখ খুলে দেওয়ার মতো। যখন ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু হয়, তাঁর সন্তানরা সেই সম্পত্তির প্রাপক ছিলেন। কিন্তু তখন নিয়ম ছিল যে, সম্পত্তি সন্তানের নামে যাওয়ার আগে তার একাংশ যাবে সরকারের কাছে। যাতে সরকারের কাছে তাঁর সম্পত্তি না যায়, সে জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী উত্তরাধিকার কর তুলে দেন।”
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের জবাব, “ইন্দিরা গান্ধীর কোনও সম্পত্তি ছিল না। এটাই বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আদানি এবং একুশ জন অত্যন্ত ধনী ব্যক্তির সম্পত্তি রয়েছে। যাদের তিনিই ধনী তৈরি করেছেন। ১৯৮৫ সালের মার্চে এই উত্তরাধিকার কর তুলে দেওয়া হয়েছিল, কারণ কর আদায় করে যে আয় হচ্ছিল, তার থেকে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছিল কর আদায়ের প্রশাসনিক খরচে। আমি তখন সরকারে ছিলাম। ফলে উত্তরাধিকার কর তুলে দেওয়ার যুক্তিটা আমিই বলতে পারি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। তা ছাড়া ন্যায় পত্রে কোথাও উত্তরাধিকার করের উল্লেখই নেই।”
রমেশের কথায়, “এটাই ঘটনা যে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি ১৯৭০ সালেই জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ফান্ডে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী যখনই মুখ খোলেন, নিজের সঙ্কীর্ণতা প্রকাশ করেন, সেইসঙ্গে মিথ্যা বলার অভ্যাস থেকে সরতে পারেন না।” জয়রামের দাবি, ২০১৭ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে মোদী সরকারই উত্তরাধিকার কর চালু করতে চেয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy