—প্রতীকী চিত্র।
নির্বাচন চলাকালীন ছ’টি বুথে ঢুকে সিসি ক্যামেরা লোপাট করে ভোট লুটপাট এবং ভোটের পরে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়া। যদিও হাওড়া জেলা নির্বাচন দফতরের দাবি, এ দিন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সোমবারের ভোট নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হলেও কোনও দলই এ সব ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে, ভোট চলাকালীন দক্ষিণ হাওড়ার ছ’টি বুথ থেকে ক্যামেরা লোপাটের ঘটনা জেলা নির্বাচন দফতর স্বীকার করেছে। ওই দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কোনও দলই লিখিত অভিযোগ জানায়নি। কেউ কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিও তোলেনি। শুধু তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। তবে, বুথ থেকে হারিয়ে যাওয়া ক্যামেরাগুলি উদ্ধার করা গিয়েছে। ক্যামেরা না থাকলেও ওয়েব কাস্টিং-এ আমরা দেখে নিয়েছি, কোনও গোলমাল হয়নি।’’
ভোট গ্রহণ মিটে যাওয়ার পরে সোমবার বেশি রাতে হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, ‘‘দক্ষিণ হাওড়ার লিচুবাগান প্রাথমিক স্কুল ও মৌলানা জহর স্কুলের ১৫১, ১৫২, ১৫৩, ১৫৫, ১৫৬ ও ১৫৭ নম্বর বুথ থেকে রহস্যজনক ভাবে ক্যামেরা উধাও হয়ে যায়। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে দেখা যায়, ওই বুথগুলিতে ৯০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। ওই সমস্ত বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে এনেছি।’’ বুথ থেকে ক্যামেরা উধাও হওয়া নিয়ে একই অভিযোগ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই ঘটনার কথা কমিশনকে জানিয়েছি। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখছি।’’
অন্য দিকে, হাওড়ার জগদীশপুরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এক নেতার বাড়িতে তৃণমূল কর্মীরা মঙ্গলবার হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। গোবিন্দ হাজরা নামে ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘ভোটের দিন মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পদ্মফুলে ভোট দেওয়ায় তৃণমূল হতাশ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। ইট ছুড়ে আমার বাড়ির সিসি ক্যামেরা, জানলার কাচ ভেঙে দিয়েছে।’’
সোমবার রাতে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন ব্যানার্জি লেনে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ভোট শেষ হতেই তাঁর বাড়িতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। তিনি বাড়িতে না থাকলেও তাঁর মাকে ধাক্কাধাক্কি ও গালিগালাজ করা হয়। ফোনে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এ দিন সকালে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান রথীন। তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদেরও ছাড়ছে না তৃণমূল। ছেলে বিজেপি করায় মাকে আক্রমণ করা হয়েছে। শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই বিজেপি কর্মী আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিয়েছিলেন। কেন খুলেছেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল। কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy