E-Paper

সুভাষের প্রচারে নীলাদ্রি কি কোণঠাসা, চর্চা

বিজেপি নেতারা অনেকেই বিধায়ককে এড়িয়ে যান। ভৈরবস্থান মন্দির থেকে মিছিল বেরোনোর পরে নীলাদ্রিশেখর মিছিলের পুরভাগে আসতে চাইলেও দলের কয়েকজন নেতা তাঁকে পাশ কাটিয়ে সরে যান।

জনসংযোগ।বাঁকুড়ার মাচানতলা বাজারে।

জনসংযোগ।বাঁকুড়ার মাচানতলা বাজারে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৪:২৭
Share
Save

কিছু দিন আগে ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়ো ক্লিপিংসে বাঁকুড়ার বিজেপির সাংসদ সুভাষ সরকারের সম্পর্কে নানা অভিযোগকে ঘিরে অস্বস্তি পড়েছিল গেরুয়া শিবির। অনেকেরই দাবি ছিল, সুভাষের সম্পর্কে অভিযোগ তোলা কন্ঠস্বরটি বিজেপির বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার। যদিও নীলাদ্রিশেখর সে অভিযোগ মানেননি। তবে মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরে লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষের মিছিলে নীলাদ্রিশেখরের সঙ্গে দলের একাংশের কিছুটা দুরত্ব দেখা গেল। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এ দিন সকালে ভৈরবস্থান মন্দিরে পুজো দিয়ে শহরে প্রচার মিছিল করেন সুভাষ। ছিলেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল, দলের মহিলা মোর্চার বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী ববিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর-সহ জেলা নেতৃত্ব। মন্দির চত্বরেই নীলাদ্রিশেখর সুভাষের পাশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আগাগোড়া মিছিলে সুভাষের দু’পাশে থাকতে দেখা যায় সুনীলরুদ্র ও ববিতা। দলীয় নেতাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন নীলাদ্রিশেখর। তবে বিজেপি নেতারা অনেকেই বিধায়ককে এড়িয়ে যান। ভৈরবস্থান মন্দির থেকে মিছিল বেরোনোর পরে নীলাদ্রিশেখর মিছিলের পুরভাগে আসতে চাইলেও দলের কয়েকজন নেতা তাঁকে পাশ কাটিয়ে সরে যান। মিছিল রবীন্দ্রভবনের কাছাকাছি যেতেই নীলাদ্রিশেখর নিজেই পিছনের সারিতে চলে যান। এরপরে তাঁকে আর মিছিলে দেখা যায়নি।

কেন এমন পরিস্থিতি? দলীয় নেতারা মন্তব্য করতে চাননি। নীলাদ্রিশেখরের দাবি, ‘‘এই সব উল্টোপাল্টা কথাবার্তার কোনও জবাব হয় না। আমি প্রথম থেকেই মিছিলে ছিলাম।’’ তাহলে কেন মাঝপথে মিছিল ছাড়লেন? তাঁর জবাব, ‘‘নেহরু যুবকেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল বলেই মিছিলে পুরোটা সময় থাকতে পারিনি।’’

পথচলতি প্রবীণদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন সুভাষ। আবার সুভাষকেও কমবয়সি অনেকে প্রণাম করেন। মাচানতলায় মিছিল শেষে সুভাষ টোটো চালক থেকে ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

সুনীলরুদ্র বলেন, ‘‘মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে। বাঁকুড়াবাসী ফের সুভাষদাকেই চান বলে জানিয়েছেন।’’

তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এ বারের লড়াই কোনও হাওয়ায় হবে না। উন্নয়নের সঙ্গে অনুন্নয়নের লড়াই হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 BJP bankura

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।