Advertisement
E-Paper

বিজেপি বিধায়ক শিখার সঙ্গে পুলিশের বচসা, মেয়র গৌতমের ওয়ার্ডে ঢোকা নিয়ে শিলিগুড়িতে ধুন্ধুমার

তৃণমূলের অভিযোগ, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় লোকজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু আইনত তিনি তা করতে পারেন না। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, শিখা কোনও আইন ভাঙেননি।

মেয়র গৌতম দেবের ওয়ার্ডে তুলকালাম।

মেয়র গৌতম দেবের ওয়ার্ডে তুলকালাম। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৫
Share
Save

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একাধিক এলাকা শিলিগুড়ি পুরসভার আওতায় পড়ে। তেমনই একটি ওয়ার্ডে ঘোরার সময় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার বাধল। বাধা পেয়ে পুলিশ এবং তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শিখা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব।

আপাত শান্ত জলপাইগুড়ি লোকসভার ভোটে ব্যতিক্রম ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি। সেখানকার বিজেপি বিধায়ক শিখাকে ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোটের দিন সকাল থেকেই কর্মীদের নিয়ে ঘুরছিলেন শিখা। অভিযোগ, শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের সামনে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়র গৌতম দেব। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। পুলিশ তাঁকে জানায়, সেই বুথের ভোটার না হলে তিনি বুথের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু শিখা তা মানতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। তা নিয়েই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। শিখা পুলিশের কোনও আপত্তিই মানতে চাননি। পুলিশও তাঁর সামনে থেকে বাধা সরায়নি। শিখা দাবি করেন, তাঁকে যেন পুলিশ গ্রেফতার করে, তিনি পথ ছাড়বেন না। তাতে আরও উত্তাপ ছড়ায়। একটা সময় পুলিশবাহিনীর মুখোমুখি হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। মাঝে ছিল পুলিশের ব্যারিকেড। এই পরিস্থিতিতে শিখাকে একটি গাড়িতে ঢুকিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর ক্রমশ উত্তেজনা থিতিয়ে আসে।

শিখা বলেন, ‘‘৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি দুনিয়ার পুলিশ চলে এল, আমাকে গ্রেফতার করতে। পুলিশের দাবি, আমি নাকি বুথের মধ্যে ঢুকেছি! তা হলে যখন বুথে ঢুকেছিলাম তখনই কেন গ্রেফতার করল না? আসল ব্যাপার হল, ওই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড হল মেয়রের ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে দেবেন গৌতম দেবকে? তাই শিখাকে আটকাতে হবে। আমাকে নিয়ে গোলমাল করিয়ে বুথ ফাঁকা করিয়ে ফল্‌স ভোট দেবে তৃণমূল, এটাই ছিল পরিকল্পনা।’’

শিখার ‘কর্মকাণ্ডে’র কড়া সমালোচনা করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই উনি প্ররোচনার সৃষ্টি করছেন। প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বুথের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন! নিয়ম অনুযায়ী, উনি সেটা পারেন না। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়ক। সকাল থেকেই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। যাতে পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করে, সেই জন্যই সকাল থেকে এত নাটক!’’

কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের দিন যে কোনও বিধায়ককে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়। সেটাই ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর’ (এসওপি)। কিন্তু বিধায়ক চাইলেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের ভিতর কোনও বুথে ঢুকে যেতে পারেন না। সেখানে অবাধ প্রবেশাধিকার কেবলমাত্র প্রার্থী এব‌ং তাঁর এজেন্টের। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে জেলাশাসকের কাছ থেকে। সেই রিপোর্টে কী লেখা হয়, সেটাই এখন দেখার।

Lok Sabha Election 2024

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}