বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণের মুখে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ফাইল ছবি।
এনআইয়ের উপর আক্রমণের ঘটনায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে শাসকদল অভিযোগ করে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে। এনআইএর এসপি ধনরাম সিংহের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন জিতেন্দ্র, এমন অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। ঘাটালে লোকসভার প্রচারে গিয়ে সব আক্রমণের জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘এনআইয়ের আধিকারিকেরা যে ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার পরে যে ভাবে এ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আক্রমণ করছেন লাগাতার। গতকালও করেছেন, আজকেও পুরুলিয়া থেকে আক্রমণ করেছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত ও উদ্বেলিত।’’ তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘কারণ চুরি দুর্নীতি তো আছেই, বেকারত্বও আছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি তো আছেই। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের পর তিনি বুঝেছেন যে ৫০০ হাজার দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে না।’’
বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করে গুন্ডাদের উৎসাহিত করছেন। শাহজাহানদের সমর্থন করছেন, আরও যাতে এই ধরনের গুন্ডামির ঘটনা ঘটে এবং এজেন্সি ও সুরক্ষা বল, যারা ভোটের কাজে নিযুক্ত হবেন, তারা যাতে আক্রান্ত হন। গত বিধানসভা ভোটের মতো শীতলখুচির ঘটনা ঘটাতে চাইছেন। যাতে কিছু শবদেহ পাওয়া যায়।’’ প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হলে বিজেপির বিরুদ্ধে সেই ঘটনার দায় চাপিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনার উল্লেখ করেই শাসকদলকে বিঁধলেন শুভেন্দু।
এনআইএ ও জিতেনকে নিয়ে তোলা তৃণমূলের অভিযোগের জবাবে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ও আলালের দুলাল ভাইপো অনেক কথা জিতেন তিওয়ারি ও মিটিং নিয়ে বলেছেন। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, যেখানকার রেজিস্টার ওঁরা দেখিয়েছেন, সেখানে ২৮টি টাওয়ার আছে। এই রেজিস্টার বানানো হয়ে থাকতে পারে। কারণ ওই স্বাক্ষর জিতেন তিওয়ারির নয়, তিনি আমাদের সতীর্থ। তাঁর স্বাক্ষর আমরা চিনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁর কাছে নাকি সিসিটিভি ফুটেজ আছে। এসপি এনআইয়ের সঙ্গে জিতেন তিওয়ারির মিটিংয়ের ফুটেজ প্রকাশ করার কথা বলা হচ্ছে। তারিখ-সহ অপসারিত ডিজি বর্তমান মুখ্যসচিব-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা ক্যামাক স্ট্রিটে গিয়ে হাটবারে হাটবারে মিটিং করেন তার সিসিটিভি ফুটেজও আমাদের কাছে আছে। তাই মিস্টার সিংহের সঙ্গে জিতেন তিওয়ারির মিটিংয়ের ফুটেজ প্রকাশ করার জন্য কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’’
রামনবমী নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে নন্দীগ্রাম বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি আশঙ্কিত। পুরুলিয়া থেকে রামনবমীকে কেন্দ্র করে আবার আশান্তির জন্য উস্কানি দিচ্ছেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘গতবার রেড রোডে ৪৮ ঘণ্টার ধর্না অবস্থান করে বলেছিলেন, রামনবমীতে আমরা নাকি হনুমান, সব জায়গায় বড় বড় মিছিল করব। মিছিলগুলো যেন মুসলিম এলাকায় প্রবেশ না করতে পারে। কোনও মুসলিম এ কথা বলেননি। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরিপ্রেক্ষিতে ডালখোলা, হাওড়ার শিবপুরে ও হুগলি জেলার রিষড়াতে রামনবমীর মিছিলে আক্রমণ হয়েছিল। সেই আক্রমণ কোনও সম্প্রদায় করেনি, করেছিলেন তৃণমূলের নেতারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy