শান্তনু ঠাকুর। — ফাইল চিত্র।
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন (সিএএ) নিয়ে এ বার তৃণমূল এবং মতুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। এবং সেই নিয়ে বলার সময়ে তিনি মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও
টেনে আনেন।
মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ শহরের বাটার মোড়ে বিজেপির শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। শান্তনু সেখানে বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের সুরক্ষা কবচ হিসাবে এই নাগরিকত্ব আমাদের আগলে রাখবে।’’ শান্তনুর যুক্তি, ‘‘মনে রাখবেন, মায়ানমারে ৪০০ বছর থাকার পরেও কিন্তু রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’’ সিএএ চালু করতে দেবেন না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক বার দাবি করেছেন। সেই প্রসঙ্গে
শান্তনু বলেন, ‘‘সংসদের উভয় কক্ষে বিল পাশ হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি যদি গেজেট নোটিফিকেশন করে দেন, তা হলে কোনও সরকারের সেই আইন বাতিল করার ক্ষমতা নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘২০০-৫০০ বছর পরেও আমাদের কোনও সরকার বে-নাগরিক করে দিতে পারবে না রোহিঙ্গাদের মতো। সিএএ আইন কার্যকর করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের জন্য সেই রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’’ ১১ মার্চ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব এই আইন বাতিলের দাবিতে জোরালো সওয়াল করছেন। বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন মতুয়াদের একাংশও।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শান্তনু বলেন, ‘‘আপনি বলছেন নাগরিকত্ব নেবেন না। তা হলে আপনার পুলিশ-প্রশাসন কেন পাসপোর্ট তৈরি করতে গেলে ১৯৭১ সালের আগের দলিল দেখতে চায়? এই প্রশ্নের উত্তর দিন।’’ শান্তনুর মতে, তৃণমূল সিএএ নিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস পরে বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষ শান্তনু ঠাকুরের ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছেন। তাঁরা সিএএ বাতিলের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy