Advertisement
Back to
Mithun Chakraborty

‘ডিউটি শেষ, এ বার ছবির কথা বলব, রাজনীতির কথা বলব না’! ভোট দিয়েই জানালেন বিজেপির মিঠুন

মিঠুন এ-ও জানিয়েছেন, শনিবার সাধারণ মানুষের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। গরমে ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেই তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন এগিয়ে যাওয়ার জন্য।

image of mithun

বেলগাছিয়ার বুথে ভোটের লাইনে মিঠুন চক্রবর্তী। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ ০৯:০৭
Share: Save:

সকাল সকাল বেলগাছিয়ার বুথে ভোট দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে শনিবার সকালে জানিয়ে দিলেন, এ বার কী করবেন তিনি। বিজেপি নেতা স্পষ্টই জানালেন, দলের নির্দেশ মেনে ৩০ মে পর্যন্ত কাজ করেছেন। এ বার তিনি ফিরে যাবেন ছবির জগতে। রাজনীতি নিয়ে আর কথা বলবেন না এখন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এই গরমে ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি।

শনিবার সকালে বেলগাছিয়ার একটি কেন্দ্রে ভোট দেন মিঠুন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন শেষ। এ বার তিনি কী করবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন বলেন, ‘‘নির্বাচনের ডিউটি ছিল ৩০ তারিখ (মে) পর্যন্ত। দলের নির্দেশ ছিল। আমি পূরণ করেছি। এ বার আমার কাজ হল পেশাগত জীবনে চলে যাওয়া। শনিবার থেকে আমি আমার পেশাগত জীবনে ঢুকছি। শনিবার থেকে আমি ছবির কাজ করব।’’ তিনি এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার থেকে ছবির কথাই বলবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ছবির কথা বলব। রাজনীতির কথা বলব না।’’ কেন এই সিদ্ধান্ত? জবাবে মিঠুন জানিয়েছেন, ‘‘আমি কোনও সময় দুটো কাজ একসঙ্গে করি না।’’

মিঠুন এ-ও জানিয়েছেন, শনিবার সাধারণ মানুষের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। গরমে ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেই তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি রাজি হননি।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে ব্রিগেড ময়দানে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন। তাঁর যোগদানের পরে সেই মঞ্চেই হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরে নতুন দলে এসে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ মিঠুন জোরকদমে প্রচার চালিয়েছিলেন। এক এক দিনে চার-পাঁচটি করে সভা করেছিলেন। হেলিকপ্টারে চড়ে বাংলার এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তুলনায় কম সভা এবং রোড-শো করেছেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি জনসভাতেই মিঠুন বলতেন নিজের ছবির সংলাপ। তিনি বলতেন, ‘‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।’’ ফলঘোষণার পরে সেই সংলাপ বলার জন্য মানিকতলা থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ‘সিটিজেন্স ফোরাম’। অভিযোগ ওঠে, মিঠুন ভোটের প্রচারে যে সব কথা বলেছেন, তাতে হিংসা ছড়ানোর ‘উস্কানি’ ছিল। বিজেপি যেখানে যেখানে জিতেছিল, সেখানে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার জন্যও ওই সংলাপ দায়ী বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এর পরে আদালতে যায় সেই মামলা। এফআইআর খারিজের জন্য কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মিঠুন। তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় আদালত। মিঠুনকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। তবে শেষমেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ ‘স্বস্তি’ দেন মিঠুনকে। তার পরেই চলতি লোকসভা ভোটের প্রচারে মিঠুন সে সব সংলাপ কমই বলেছেন। ভোট দিয়ে তিনি জানালেন, আবার নিজের ছবির কাজে ফিরছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mithun Chakraborty Lok Sabha Election 2024 BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE