এখন দিলীপের জায়গায় এসেছে অগ্নিমিত্রা পালের ছবি। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে কেন্দ্র বদল হয়েছিল। এ বার বদলে গেল ছবিও।
মেদিনীপুর শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ব্যাকড্রপে এতদিন ছিল বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষের ছবি, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নড্ডা, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। সেখান থেকে দিলীপের ছবি সরল রাতারাতি। বদলে এল মেদিনীপুরে এ বারের পদ্ম-প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ছবি। বুধবার এই পরিবর্তন হয়েছে বলে দলেরই এক সূত্রে খবর।
দিলীপকে এ বার বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী করেছে বিজেপি। মেদিনীপুরে দলের প্রার্থী আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। এই প্রার্থী বদলের প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে বিজেপি কার্যালয়ে। জানা গিয়েছে, কার্যালয়ের মূল ঘরের ব্যাকড্রপে মাঝে ছিল নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের ছবি। তার একদিকে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের ছবি। অন্য দিকে জে পি নড্ডা, দিলীপ ঘোষের ছবি। বাকি সব ছবির স্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। শুধু দিলীপের ছবিই সরানো হয়েছে। সেই জায়গায় এসেছে অগ্নিমিত্রার ছবি।
অগ্নিমিত্রা মেদিনীপুরে আসার পর থেকে অবশ্য কর্মীদের শোনাচ্ছেন, দিলীপের হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। মেদিনীপুরে প্রার্থী হওয়ার পরেও তিনি প্রথমেই দিলীপের আশীর্বাদ নিয়েছেন। তবে দিলীপের ছবি সরিয়ে তাঁর অনুগামীদের নেতৃত্ব কি কোনও বার্তা দিতে চেয়েছেন, জল্পনা শুরু হয়েছে। দিলীপের ছবি সরল কেন? সদুত্তর এড়িয়ে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘‘ওখানে একটা নতুন ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। তাতে দলের প্রার্থীর ছবি রাখা হয়েছে।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরার খোঁচা, ‘‘দিলীপ ঘোষকে যে ভাবে এখান থেকে সরানো হল, সেটা বিজেপির পুরনো কর্মীরা মানতে পারছেন না। ওরা আগে নতুন-পুরনোর দ্বন্দ্ব সামলাক। তারপরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বে।’’
বস্তুত মেদিনীপুরে বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীর ‘দ্বৈরথ’ নিয়েও জল্পনা রয়েছে। ফলে, দিলীপ মেদিনীপুর থেকে সরার পরে জেলা বিজেপিতে তাঁর অনুগামীদের ‘রাশ’ আগের মতোই থাকবে, না কি কমবে, সে নিয়েও জল্পনা রয়েছে দলের ভিতরে, বাইরে।মেদিনীপুরে দলের সংগঠনের মধ্যে যে দিলীপের প্রভাব রয়েছে, সেটা অজানা নয় বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রার। তাই তিনি সাবধানী। আপাতত, প্রচারে ‘ভারসাম্য’ বজায় রেখে এগোচ্ছেন। বুধবারই অগ্নিমিত্রাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমাকে আর কে চিনতেন এখানে! এখানে তো সবাই দিলীপদাকেই চিনতেন।’’
প্রচারে কি এখনও দলের সবাই সমানভাবে নামেননি? ‘ফাঁক’ থাকছে? অগ্নিমিত্রার জবাব, ‘‘কোথাও কোথাও তো গ্যাপ থাকতেই পারে। সবকিছু কি আর একশোয় একশো হয়! সংসারে সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক কি আর একশোয় একশো হয়!’’ দলীয় বৈঠকে তাঁর নির্দেশ, ‘‘যত পুরনো কার্যকর্তা আছেন, তাঁদের হাতজোড় করে বলুন, কাজে নামতে। তাঁদের যা মনোমালিন্য আমাকে জানান। আমি নিজে মেটাব। কথা দিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy