যুযুধান: দুষ্কৃতী যোগ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক লকেটের (বাঁ দিকে)। সরব অসিতও। নিজস্ব চিত্র —নিজস্ব চিত্র।
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এ বার চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে দুষ্কতী-যোগের পাল্টা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন হুগলির বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাতে যুক্ত করলেন ওই কেন্দ্রে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী, তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।
মঙ্গলবারই লকেটের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতী-যোগের অভিযোগ তুলে কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন অসিত। ব্যান্ডেলের এক দুষ্কৃতীর মায়ের সঙ্গে কিছুদিন আগে ফাঁড়িতে লকেট বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল অসিতের। প্রায় লকেটের সুরেই বুধবার অসিত বলেন, ‘‘কমিশনে যে কেউ নালিশ জানাতে পারেন। আমার সঙ্গে দুষ্কৃতী-যোগের প্রমাণ কই?’’
এ দিন সংবাদমাধ্যমের কাছে অতীতে পুলিশের খাতায় নাম থাকা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সপ্তগ্রামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অসিতের যোগাযোগের অভিযোগ তোলেন লকেট। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একই ফ্রেমে অসিত ও রচনার ছবিও দেখান। লকেট বলেন, "অসিতের দুষ্কৃতী-যোগের প্রমাণ দিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। সেখানে রচনার নামও রয়েছে। ও (রচনা) জেনেশুনে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছবি তুলেছে কি না, জানি না। তবে, ও তৃণমূলে নাম লিখেয়েছে তো, তাই বিশ্বাস নেই!"
এ দিন রচনা ফোন ধরেননি, তাই প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘রচনা প্রার্থী হিসেবে নতুন। জেলায় দলের সকলকে চেনেন না। অনেকেই আমাদের কর্মসূচিতে এসে ছবি তুলতে পারেন। কেউ যদি দুষ্কৃতী হয়, কমিশন বুঝবে। রচনা কিছু জানেন না।’’
৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুঁচুড়ার আখনবাজারে একটি বেআইনি নির্মাণে অসিত মদত দিয়েছিলেন বলেও এ দিন অভিযোগ তোলেন লকেট। পাশাপাশি, বিধায়কের বিরুদ্ধে চুঁচুড়ার এক হোটেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দু'টি ফ্ল্যাট এবং একাধিক ঠিকাদারের থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
এই অভিযোগও অস্বীকার করে অসিতের দাবি, লকেট বললে তো আর হল না, ঠিকাদার বা ব্যবসায়ীরা বলুন। আমি টাকা নিয়েছি, কেউ প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’
এ দিনের এই ঘটনা ছাড়াও অসিত ও তাঁর দলের অস্বস্তির কারণ হয়েছে একটি ভিডিয়ো ফুটেজ। ওই ফুটেজে (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) অসিতকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এমনিতেই আমরা ৩ লক্ষ ভোটে হারব’! অসিত জানান, ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময়ে তিনি মুখ ফসকে ওই মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। তিনি কমিশনে যাওয়ায় ওই ফুটেজকে হাতিয়ার করে লকেট সাধারণ মানুষকে ভুল বোজাচ্ছেন বলে অসিতের অভিযোগ। তিনি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছেন।
লকেট-অসিত আকচাআকচিতে নাক গলাতে নারাজ সিপিএম। হুগলি কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। ওঁরা (লকেট-অসিত) একে অপরকে নিয়ে ব্যস্ত।’’ একইসঙ্গে তাঁর খোঁচা, ‘‘একটা কথা বলতে পারি। দু’জনে পরস্পরের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতী-যোগের অভিযোগ যখন তুলছেন, তখন কিছু একটা তো আছেই!"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy