নিজে জিপ চালিয়ে প্রচারে বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। রবিবার নলহাটির রুদ্রনগর গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।
মানুষ দাঁড়াতে বললেই তিনি দাঁড়াতে পারবেন। তাই চালকে সরিয়ে নিজেই বসলেন চালকের আসনে। রবিবার নিজেই হুড খোলা জিপ চালিয়ে প্রচার সারলেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়।
এ দিন নলহাটির রুদ্রনগর, কুশমোর ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় বিদায়ী সাংসদের এই প্রচার দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষজন। সকাল থেকেই প্রচার শুরু করেন বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য ছাড়াও ব্লক নেতৃত্ব। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় কেন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছেন? উত্তরে শতাব্দী বলেন, “ব্রেক নিজের পায়ে রাখলে মানুষজনের সঙ্গে জনসংযোগ আরও বাড়বে। যেখানেই গ্রামের মানুষজন দাঁড়াতে বলেছেন সেখানেই দাঁড়িয়ে কথা বলছি। সে জন্যই নিজেই গাড়ি চালাচ্ছি।’’
এ দিন সকালে ধানঘরা গ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। গ্রামে গ্রামে মঞ্চ করে তিনি ভোটের দিন সকাল সকাল ভোট দেওয়ার কথা বলছেন। তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘আপনাদের কাছে ভোট চাইবার অধিকার তৃণমূল দলের আছে। রাজ্য সরকার, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েত আপনাদের উন্নয়নের জন্য সারা বছর কাজ করে। সব সময় আপনাদের পাশে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। ভোটের সময় পরিযায়ী দলকে ভোট দেবেন না।’’ তাঁর বার্তা, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে এক হাজার টাকা পাচ্ছেন? রাজ্য সরকার আগে থেকেই মানুষজনের কথা ভেবে টাকা বাড়িয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে আপনারা পাচ্ছেন।’’
সভার পরে বিভিন্ন গ্রামে নিজেই জিপ চালিয়ে প্রচার করেন শতাব্দী। রুদ্রনগর গ্রামে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার প্রচার শুরু করেন শতাব্দী। শতাব্দীর নিজে গাড়ি চালানো নিয়ে বীরভূমের কংগ্রেস পার্থী মিল্টন রশিদ বলেন, “বাম-কংগ্রেস কর্মী ও প্রার্থী গ্রামে পায়ে হেঁটে প্রচার করছেন।এর জবাব মানুষ দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy