বিনয় তামাং। —ফাইল চিত্র।
গত নভেম্বরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দিল্লি গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং। কিন্তু পাঁচ মাসের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিলেন তিনি। উল্টে সমর্থন জানিয়ে বসলেন বিজেপিকে। দার্জিলিঙে ভোটগ্রহণ শুক্রবার। তার ৭২ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার বিনয় ঘোষণা করলেন, তিনি সমর্থন করছেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে।
একটি ভিডিয়ো বার্তায় বিনয় বলেছেন, ‘‘এখন দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়। সেই প্রেক্ষিতে আমি সমর্থন করছি বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে। পাহাড়ের মানুষের কাছে বলব, আপনারাও তাঁকে সমর্থন করুন।’’ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা অনেক দিন হল খণ্ড খণ্ড হয়ে গিয়েছে। বিনয় তাঁর গোষ্ঠীর নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। তার পর সোমবার রাতে এর এক প্রস্ত ভার্চুয়াল বৈঠকে কোর কমিটি তাঁকে দায়িত্ব দেয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার। বিনয়ের কথায়, ‘‘সংগঠনের নেতারা আমার উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তৃণমূল ছাড়া যাকে খুশি সমর্থন করা যেতে পারে।’’
বিনয় বলেছেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে দিল্লিতে আবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারে আসা নিশ্চিত। দু’বছর পর রাজ্যেও ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। তাই সব দিক বিবেচনা করেই রাজু বিস্তাকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ বিনয় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর গুঞ্জন ছিল, তাঁকে পাহাড়ে প্রার্থী করতে পারেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। কিন্তু তা হয়নি। হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডের ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনীশ তামাংকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। মুনীশকে প্রার্থী করার পরেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বিনয়। শেষ পর্যন্ত তিনি সমর্থন করলেন বিজেপিকে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, পাহাড় এবং সমতলের ‘পরিচিত মুখ’ বিনয়ের প্রস্তাব প্রার্থী হিসেবে দিল্লিতে গিয়েছিল। পরে হামরো পার্টির অজয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা ভিপি সিংহ, পবন খেড়া এবং গুলাম আহমেদ মির। মুনীশ গোর্খা পরিসঙ্ঘের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। অজয় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হন। সেই প্রেক্ষাপটে বিনয় শিবির কার্যত তখন থেকেই কংগ্রেসের থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy