তাঁর বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা করেছে পুলিশ? জানতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ রেখা পাত্র। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টে নিরাপত্তা এবং রক্ষাকবচ চেয়েও আবেদন করেছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।

উল্লেখ্য, সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়োকাণ্ডে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল এবং বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গত ৪ মে সকালে প্রকাশ্যে আসা সন্দেশখালির ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। গোপন ক্যামেরায় তোলা সেই ভিডিয়োয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর দাবি করেছেন, গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সন্দেশখালিতে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগগুলি ‘সাজানো’ ছিল! মহিলারা টাকার বিনিময়ে শাহজাহান শেখ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর। ভিডিয়োয় গঙ্গাধর দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েদের দিয়ে সাজিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছে। ভিডিয়োতেই দাবি, রেখাও দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুলিশের কাছে। গোপন জবানবন্দিও দিয়েছিলেন।

যদিও বিজেপি ভিডিয়োটিকে ‘ভুয়ো’ এবং ‘বিকৃত’ বলে দাবি করেছে। সিবিআই তদন্ত চেয়েছে তারা। ভিডিয়োয় যে বিজেপি নেতার দাবি নিয়ে এত শোরগোল, সেই গঙ্গাধরও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন। রেখাও সব অভিযোগ অস্বীকার করে ভিডিয়োটিকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছেন।

এর পরেই সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়োকাণ্ডে গঙ্গাধর এবং রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। পুলিশ সেই নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে। তবে মনে করা হচ্ছে, পদ্মপ্রার্থীর সন্দেহ, তাঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের হয়ে থাকতে পারে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ক'টা মামলা করেছে, তা জানতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ না করা হয়, তার আবেদন জানিয়ে রক্ষাকবচও চেয়েছেন।