Advertisement
Back to
Barasat Lok Sabha constituency

কাকলির বারাসতে ‘নিখোঁজ’ নির্দল প্রার্থী কাকলি হঠাৎই জেলাশাসকের দফতরে! তুলে নিলেন মনোনয়নও

বারাসতে তৃণমূলের প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার। সেখানে কাকলি ঘোষ নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় হইচই শুরু হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই জানা যায়, কাকলি ‘নিখোঁজ’!

কাকলি ঘোষ।

কাকলি ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বারাসত শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ১৬:৫১
Share: Save:

অপহরণের খবর ‘অসত্য’। কেউ তাঁকে অপহরণ করেননি! ১০-১২ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ থাকার পর বুধবার দুপুরে আচমকাই জেলাশাসকের দফতরে হাজির হয়ে এমনটাই দাবি করেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষ। সেই সঙ্গে নিজের মনোনয়নও প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন এই সিদ্ধান্ত? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নে কাকলির সপাট জবাব, ‘‘আমার ইচ্ছে!’’

বারাসতে তৃণমূলের প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার। এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদও তিনি। সেখানে কাকলি ঘোষ নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় হইচই শুরু হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই জানা যায়, কাকলি ‘নিখোঁজ’! অভিযোগ ওঠে, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে হাবড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু বুধবার দুপুর আচমকাই জেলাশাসকের দফতরে হাজির হন কাকলি। সেখানে তিনি জানান যে, তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে চান। করেও নেন। পরে সংবাদমাধ্যমে কাকলি বলেন, ‘‘আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। কেউ তুলে নিয়ে যায়নি আমাকে।’’ কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন? কাকলির উত্তর, ‘‘আমি নিজের ইচ্ছাতেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করছি।’’

মঙ্গলবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে বারাসত কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা করেন কাকলি। তার পর সোজা বাপের বাড়ি চলে যান। কাকলির বাপের বাড়ি হাবড়ার বামিহাটি এলাকায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ১০-১৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল নির্দল প্রার্থী কাকলি এবং তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। দু’জনের মোবাইল ফোনও ‘সুইচ্‌ড অফ’ করে দেওয়া হয়। এর পরেই হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরা। কাকলির প্রস্তাবক দিলীপ দাস বলেছিলেন, ‘‘রাত ২টোর সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যায়। ফোন বন্ধ। তাই যোগাযোগও করতে পারছি না। এই অবস্থায় আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি, যাতে আমাদের প্রার্থীকে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর জন্যই এই চাপের রাজনীতি। এখানে কাকলি ঘোষদস্তিদার তৃণমূলের প্রার্থী। তাই মনে হয়, মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে এই সব করা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, কাকলির বাড়ির আশপাশে তৃণমূলের গুন্ডারা দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। তাই কাকলির বাড়ির লোকেরা থানায় আসতে ভয় পাচ্ছেন। তৃণমূল অবশ্য প্রথম থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Barasat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy