দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র মঞ্চ থেকে সরানো হল কেজরীওয়ালের ছবি। ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)
রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী জমানায় ভারতে ‘লোকতন্ত্র’ বিপন্ন। তাই দেশে ‘লোকতন্ত্র’ বাঁচাতেই লড়ছেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদও ছিল সমাবেশের অন্যতম বিষয়। এই সমাবেশ আয়োজনের সিংহভাগ দায়িত্বে ছিল আম আদমি পার্টি (আপ)। রবিবার সকালে ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের মূল মঞ্চ ছিল কেজরীওয়ালময়। তাঁর ছবি ছিল মঞ্চের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু ঘণ্টা খানেক পরেই পাল্টে গেল মঞ্চের ছবি। মূল মঞ্চ থেকে খুলে ফেলা হল কেজরীর প্রায় সব ছবিই!
কিন্তু কেন মূল মঞ্চে কেজরীর ছবি লাগানোর পরও খুলে ফেলতে হল উদ্যোক্তাদের, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, রবিবারের সমাবেশে বিজেপি বিরোধী প্রায় ২৭-২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, তেজস্বী যাদব, মেহবুবা মুফতি, ডেরেক ও’ব্রায়েন, উদ্ধব ঠাকরেরা তো ছিলেনই, তবে রবিবারের মঞ্চে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতা এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা।
সকলের মুখেই ছিল ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ ধ্বনি। সূত্রের খবর, ‘ইন্ডিয়া’র মঞ্চে কেজরীওয়ালের এত ছবি থাকা ভাল ভাবে নেননি বিরোধী দলের নেতারা। তাঁদের আপত্তির পরেই মূল মঞ্চ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় কেজরীর সব ছবি। কংগ্রেস বার বারই বলেছে, ‘‘রামলীলার সমাবেশ কোনও ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। মোদী সরকারকে একটা শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য এই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।’’ মূল মঞ্চ থেকে কেজরীর ছবি সরানো হলেও জায়ান্ট স্ক্রিনে অন্যান্য নেতানেত্রীর মতো আপ প্রধানের ছবিও বার বার দেখানো হয়েছে।
কেজরীর ছবি সরানোর পর থেকেই আপের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি ‘ইন্ডিয়া’ তাঁকে ব্রাত্য করে দিতে চাইল? যদিও রবিবার রামলীলার মঞ্চে যাঁরা বক্তৃতা করেছেন, সকলের গলায় ছিল কেজরীর গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিবাদের সুর। এক কথায় সকলেই বোঝাতে চেয়েছেন, কেজরীওয়ালকে এ ভাবে গ্রেফতার করে ‘লোকতন্ত্র’কেই হত্যা করতে চাইছে মোদী সরকার। শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’র তরফে লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচটি দাবির কথা বলেন। সেই পাঁচ দাবির মধ্যে অন্যতম হল ‘কেজরীওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের অবিলম্বে মুক্তি’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy