—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির তরফ থেকে শনিবার আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের ২০ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে জেলার দু'টি কেন্দ্রের নামের তালিকায় রয়েছে বহরমপুর কেন্দ্রে নির্মল সাহা ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে গৌরীশঙ্কর ঘোষের নাম। গৌরীশঙ্কর বর্তমানে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আধিক্যের কারণে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাদের আস্থা কতটুকু অর্জন করতে পারবে, সে নিয়েও সংশয়ে রয়েছে জেলার বাসিন্দাদের একাংশ।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব আইনের (এনআরসি এবং সিএএ) মতো বড় একটা ঝড় কাটিয়েও বিজেপি প্রার্থী হুমায়ুন কবীর নিজের ঝুলিতে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৯ ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে তৃণমূলের আবু তাহের পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৪ হাজার ৩৪৬ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের আবু হেনা। তিনি পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯২৯ ভোট। এবং সিপিএম প্রার্থী বদরুদ্দোজা খান পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৯৩ ভোট।
তবে জেলা স্তরে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে সিপিএম-এর প্রার্থী হবেন মহম্মদ সেলিম। তবে এ নিয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের দলীয় সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে কংগ্রেস ও সিপিএম-এর জোট হলে ভোট সংখ্যা হবে ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭২২। সে ক্ষেত্রেও প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকবেন জোট প্রার্থী। অনেকের ধারণা, পায়ের তলার মাটি ফিরে পেতে বামফ্রন্ট যে ভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে, সেখানে এই সামান্য ব্যবধান কাটিয়ে ওঠা কোনও বড় ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে না। তবে সেখানেও বহিরাগত ইস্যু নিয়ে ক্ষোভ মাথা চাড়া দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানকে দল কতটা গুরুত্ব দেবে, সেটা নিয়েও দলের অভ্যন্তরে যথেষ্ট গুঞ্জন রয়েছে। সব ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বিভিন্ন সভা, মঞ্চে ইদানীং তাঁর উপস্থিতি অনেকের নজরে এসেছে। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ, নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য-রাজনীতি যখন তোলপাড়, তখন রাজ্যের শাসকদল নিজেদের ভোট কতটা ধরে রাখতে পারবে, সেটা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে বলে বিরোধীদের দাবি। বিরোধীরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের তাৎক্ষণিক সার্বিক উত্থানকেও সহজে মেনে নিতে পারছে না জেলার সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশ।
সাময়িক কালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচারে গেরুয়া শিবির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা কতটুকু অর্জন করতে পারবে বা, বামফ্রন্ট প্রার্থীর বহিরাগত ইস্যু কাটিয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি ফিরে পাবে কি-না, আগামী লোকসভা নির্বাচনে সেটাই দেখার বিষয়।
তবে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের প্রভাব তৃণমূলের বিরোধী মনোভাবকে ভোটের বাতাসে উড়িয়ে দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy