(বাঁ দিকে) দীপ্সিতা ধর। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে কটাক্ষ করে কিছু মন্তব্য করেছিলেন শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক সিপিএম কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই সিপিএম কর্মীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ নিয়ে শুক্রবার রাত থেকে উত্তেজনার পরিস্থিতি নিশ্চিন্দা থানার দুর্গাপুর সমবায়পল্লি এলাকায়। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দীপ্সিতাও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বালির দুর্গাপুর অভয়নগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের উল্টো দিকে একটি জনসভা ছিল কল্যাণের। সভায় কল্যাণ সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতার নাম করে বেশ কিছু মন্তব্য করেন, যা আপত্তিকর বলে মনে হয় ওই এলাকার বাসিন্দা কৌশিক দত্তের। তিনি এর প্রতিবাদ জানান। কল্যাণ সভা করে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা কৌশিকের বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, কৌশিককে চড়-লাথি-ঘুষি মারা হয়েছে। এমনকি, স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন কৌশিকের স্ত্রী সন্ধ্যা দত্তও। শাসকদলের ওই ঘনিষ্ঠেরা কৌশিকের বাড়ি লাগোয়া তাঁর দোকানেও ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সোনালি চক্রবর্তী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। যদিও হামলার কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান। তাঁর দাবি, ‘‘মত্ত অবস্থায় কৌশিক অশ্লীল ভাষায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের উদ্দেশে গালিগালাজ করেছেন।’’ অন্য দিকে, কৌশিক বলেন, ‘‘সিপিআইএম প্রার্থী জিতবে বলাতেই আমার উপর হামলা করা হয়।’’
গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। আক্রান্ত কৌশিক এবং তাঁর স্ত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে আক্রান্তের পরিবারের সূত্রে খবর, তাঁরা এতটাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছেও মুখ খুলতে তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কিত বোধ করছেন।
শ্রীরামপুর কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনের এখনও প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে এলাকায় শাসকদল এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা জানান, পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা ‘বড় পদক্ষেপ’ করবেন। নিশ্চিন্দার ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের সময় এবং গণনার দিনও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy