সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বাঁকুড়া লোকসভা আসনে প্রার্থী হতে না পারার জন্য তৃণমূলের দায়িত্ব থেকে তাঁর পদত্যাগ করার খবর ঠিক নয়। সরাসরি এমনই জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী হতে পারিনি বলে অভিমান ছিল। কিন্তু তা বলে দলের বিরুদ্ধে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। ফলে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পরে সায়ন্তিকা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে রবিবার রাত থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসে সায়ন্তিকার লেটারহেডে একটি চিঠি। যাতে লেখা রয়েছে পদত্যাগের কথা। যদিও সমাজমাধ্যমে ঘুরতে থাকা সেই চিঠির কোথাও সায়ন্তিকার স্বাক্ষর ছিল না। ছিল না তারিখও।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ওই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে মুখ খোলেন সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী হতে পারি বলে আমার ইচ্ছা থাকলেও দল যে সেটাই করবে, তার তো কোনও মানে নেই। তবে এটা ঠিক যে প্রার্থিতালিকায় নাম না থাকায় প্রথমে কিছুটা অভিমান হয়েছিল। তবে দলের বিরুদ্ধে, দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। আমি কোনও ভাবেই কোনও পদ থেকে ইস্তফা দিইনি। কাউকে এ নিয়ে কোনও কথাও বলিনি।’’
একই সঙ্গে সায়ন্তিকা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার চিঠি হলে তো আমার সই থাকবে! সেটাই নেই ওই চিঠিতে। কে বা কারা কেন এটা করেছেন আমার জানা নেই। তবে আমি একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, আমি দলে যেমন ভাবে ছিলাম তেমন ভাবেই রয়েছি।’’
রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশ শেষ হয় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। কিন্তু দেখা যায়, তার আগেই সায়ন্তিকা মঞ্চ থেকে নেমে আসছেন। ফোনে কথা বলতে বলতে সভাস্থল ছেড়ে তাঁকে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা সোমবার বলেন, ‘‘এটা ঠিকই যে আমি ওই সময়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে অনেক আগেই বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কারণ, আমার শরীর খারাপ লাগছিল। কিন্তু ব্রিগেড ময়দানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ভাল না থাকায় গাড়িচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। যে মুহূর্তে যোগাযোগ হয়, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যাই।’’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে হেরে যান তিনি। তবে ভোটে হারলেও অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও করা হয়েছিল। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, গত তিন বছর ধরে লাগাতার বাঁকুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন তিনি। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনসংযোগও বজায় রেখেছিলেন। তাই বাঁকুড়া লোকসভা থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন সায়ন্তিকা। যদিও কখনও এ ব্যাপারে সায়ন্তিকা নিজে কিছু বলেননি। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, বাঁকুড়া লোকসভা থেকে টিকিট পাবেন বলে সায়ন্তিকা নাকি নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। তার পরেই তৈরি হয় পদত্যাগের জল্পনা। যদিও সে জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন সায়ন্তিকা নিজেই।
(ভ্রম সংশোধন: সায়ন্তিকার লেটারহেডে লেখা চিঠিটি হাতে আসার পরে তা যাচাই না করেই আনন্দবাজার অনলাইনেও সায়ন্তিকার ইস্তফা সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে পরে বিষয়টি ঠিক নয় বলে সায়ন্তিকা জানানোর পর খবরটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এমন অসাবধানতা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে যাচাই না করে বা সায়ন্তিকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করে খবরটি প্রকাশ করার জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy