—প্রতীকী ছবি।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে লড়ে জেতার পরে আবার এ বারে প্রার্থী হয়েছেন, এমন ৩২৪ জন সাংসদের ক্ষেত্রে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ গড়ে ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচনী অধিকার সংগঠন এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস)এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ-এর সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সাংসদদের সম্পত্তির গড় পরিমাণ ২০১৯ সালে ছিল ২১.৫৫ কোটি টাকা। সেটা এখন দাঁড়িয়েছে গড়ে ৩০.৮৮ কোটি টাকা।
সেই সঙ্গে সমীক্ষায় এও প্রকাশ, ২০০৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বেড়েছে ১০৪ শতাংশ। ২০০৯-এ প্রতিযোগী দলের সংখ্যা ছিল ৩৬৮। এখন সেটা ৭৫১। ২০১৯-এ সংখ্যাটা ছিল ৬৭৭। আবার কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ২০০৯-এ ছিল ১৬ শতাংশ, ২০২৪-এ সেটাই ৩১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোটিপতি প্রার্থী এ বার রয়েছেন বিজেপি থেকে, ৪০৩ জন।
পুনরায় প্রার্থী হওয়া সাংসদ প্রার্থীদের মধ্যে ১৮৩ জন সাংসদ বিজেপির। বুধবার প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে গড় সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৯.১৮ শতাংশ (১৮.১৪ কোটি থেকে বেড়ে ২৫.৬১ কোটি)। কংগ্রেসের ৩৬ জন সাংসদের মধ্যে সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ গড়ে ৪৮.৭৬ শতাংশ (৪৪.১৩ কোটি থেকে বেড়ে ৬৫.৬৪ কোটি)। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৬ জন সাংসদের মধ্যে সম্পত্তি বৃদ্ধির গড় ৫৩.৮৪ শতাংশ (১৫.৬৯ কোটি থেকে ২৪.১৫ কোটি)। ডিএমকে-র ১০ সাংসদের ক্ষেত্রে এই অঙ্কটা ১৯.৯৬ শতাংশ (৩০.৯৩ কোটি থেকে বেড়ে ৩৭.১০ কোটি)। শিবসেনার আট জন সাংসদের ক্ষেত্রে ৪৮.১৩ শতাংশ (১৯.৭৭ কোটি থেকে ২৯.২৮ কোটি)। শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ৬৮.৪ শতাংশ (৭.০১ কোটি থেকে ১১.৮০ কোটি)। বিজেডি ১৮৪.০২ শতাংশ (২.৪১ কোটি থেকে ৬.৮৫ কোটি), টিডিপি ১৪৩.২ শতাংশ (১৮.৯০ কোটি থেকে বেড়ে ৪৫.৯৭ কোটি)। সমাজবাদী পার্টির ৫ জন সাংসদের গড় সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ২০.৫৩ শতাংশ (২০.৫৬ কোটি থেকে ২৪.৭৮ কোটি)। জেডিইউ-এর ১১ সাংসদের গড় সম্পত্তি বৃদ্ধি ৩৫.৫৪ শতাংশ (৪.৫৫ কোটি থেকে ৬.১৭ কোটি)। সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে শিরোমণি অকালি (অমৃতসর) দলের, তিন শতাংশের কাছাকাছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy