—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আগামী ১ মার্চ রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৭ মার্চ আসবে আরও ৫০ কোম্পানি। লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপকে অনেকেই মনে করছেন ‘নজিরবিহীন’।
১ মার্চ রাজ্যে যে ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে, তার মধ্যে ২০ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), ৫০ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী), ১০ কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স), ১০ কোম্পানি এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল), ১০ কোম্পানি আইটিবিপি (ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত বাহিনী)। ৭ মার্চ রাজ্যে যে ৫০ কোম্পানি বাহিনী আসছে, তার মধ্যে ১০ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৩০ কোম্পানি বিএসএফ, পাঁচ কোম্পানি এসএসবি এবং পাঁচ কোম্পানি আরপিএফ।
শনিবারই নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তার মাধ্যমে জানানো হয়, বদলির ক্ষেত্রে পুলিশ আধিকারিকদের একই লোকসভা কেন্দ্রে পাঠাতে পারবে না রাজ্যগুলি। দেশের লোকসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস হওয়ার পর অনেক আসনই দুই বা ততোধিক জেলার অংশ নিয়ে তৈরি হয়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য প্রশাসনের পছন্দসই পুলিশ আধিকারিকদের অন্য জেলায় বদলি করা হলেও তাঁরা একই লোকসভায় রয়ে যাচ্ছেন।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক নিজেদের জেলাতেই কোনও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন কিংবা নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় একটানা তিন বছর চাকরি করে ফেলেন, তাঁদের অন্য জেলায় বদলি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যে পুলিশ আধিকারিকেরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে নির্বাচনী কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়।
আগামী ৩ মার্চ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগে শনিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সব জেলাশাসক (ডিএম) এবং পুলিশ সুপার (এসপি)-দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। তিনি ডিএম, এসপিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। অভিযোগ পেলেও দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়। লোকসভা ভোটের আগে চলতি মাসেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ চলে আসতে পারে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy