আশঙ্কা-উদ্বেগের মধ্যেই একের পর এক দুঃসংবাদ এসে পৌঁছেছে। মৃত্যু সংবাদ আসছে হিমালয় শীর্ষ থেকে। বাঁকুড়ার সুভাষ পাল মারা গিয়েছেন, খোঁজ নেই অন্য দুই পর্বতারোহীর। সময় যত এগোচ্ছে, আশঙ্কার মেঘ আরও ঘনাচ্ছে। অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা চূড়ান্ত উদ্বেগ গোপন করতে পারছেন না, অক্সিজেন ফুরিয়ে যাচ্ছে না তো?
তুষারধস আর ভূমিকম্প, পরপর দু’বছর ধাক্কা খাওয়ার পর এভারেস্ট অভিযানের রুট খুলেছিল চলতি বছরেই। মাউন্ট এভারেস্টকে ঘিরে স্বপ্ন-আবেগ-রোমাঞ্চের আহ্বান আরও অনেকের মতোই বেশ কিছু বঙ্গসন্তানকেও টেনে নিয়ে গিয়েছে। সন্দেহ নেই, সাম্প্রতিক অতীতে কয়েক জন বাঙালির সাফল্য শৃঙ্গজয়ের আকর্ষণকে আরও দুর্নিবার করে তুলেছে। আকর্ষণ যখন অপ্রতিরোধ্য হয়, তখন অনেক প্রশ্নই হয়ত চাপা পড়ে যায়।
এখন সেই প্রশ্নগুলো উঠছে। এভারেস্টের মতো শৃঙ্গ জয়ের জন্য যে প্রস্তুতি, যে পরিকাঠামো, যে মানসিকতা তৈরির মহড়ার প্রয়োজন, সবক্ষেত্রে তা থাকছে তো? ডরকে আগে জিত হ্যায়, বিজ্ঞাপনের এই ভাষাকে বাস্তবে পেতে গেলে প্রয়োজন ইস্পাতদৃঢ় মানসিক-শারীরিক গঠন। তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ-অনুশীলন-অভ্যাসের। অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করছেন এই জায়গাতেই। এই সব কিছু হচ্ছে তো?
প্রশ্নগুলো থাকবে। কিন্তু সে সবকে ছাপিয়ে এখন রাজ্যজুড়ে একটাই প্রার্থনা। ভাল খবর এসে পৌঁছক। সব আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে ফিরে আসুক আমাদের ছেলেমেয়েরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy