মহারাষ্ট্রে মরাঠাদের বিশেষ সংরক্ষণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল বম্বে হাইকোর্ট। চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে মরাঠাদের জন্য ১৬ শতাংশ সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল পূর্বতন পৃথ্বীরাজ চহ্বণ সরকার। একই সঙ্গে মুসলিমদের জন্যও ৫ শতাংশ সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে অবশ্য চাকরিক্ষেত্রের অংশ বাদ দিলেও শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুপারিশ বজায় রেখেছে আদালত। শুক্রবার এই রায় দেয় বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মোহিত শাহের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
মহারাষ্ট্রে মরাঠা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সবথেকে পিছিয়ে রয়েছেন, এই কারণ দেখিয়ে এই দুই সম্প্রদায়ের জন্যই সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় তত্কালীন কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার। ভোটের মাস কয়েক আগে জুলাইয়ের শেষ দিকে কার্যকর হয় ওই সুপারিশ। এর পরেই সংরক্ষণের বিরোধিতা করে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কেতন তিরোদকর নামে এক সমাজকর্মী। আদালতে তিনি জানান, মহারাষ্ট্রে মরাঠারাই সবচেয়ে এগিয়ে থাকা জাতি। রাজ্যের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকও তাঁরাই। এ ছাড়া এই সংরক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশকেও অমান্য করছে বলে দাবি করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও রাজ্যেই মোট সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট সংরক্ষণের পরিমাণ ৩২ শতাংশ। তিরোদকরের বক্তব্য সমর্থন করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপারিশ ও প্রকৃত তথ্যের মধ্যে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। পিছিয়ে পড়া জাতির মধ্যে কোনও ভাবেই মরাঠাদের আনা যায় না। ফলে তাঁদের সংরক্ষণের বিষয়টিও ঠিক নয়। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে। সূত্রের খবর, বম্বে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে নবনিযুক্ত ফডণবীস সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy