সংরক্ষণ নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে ফের ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক গবেষক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। নির্যাতিতার বাড়ি বাংলাদেশে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় পিএইচডি-র ওই ছাত্রকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ সফিকুল ইসলাম। তাঁর বাড়িও বাংলাদেশে। সফিকুল বিশ্বভারতীর ‘রুরাল এক্সটেনশন সেন্টার’ (আরইসি) বিভাগে পিএইচডি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীর অশ্লীল ছবি তোলার অভিযোগও রয়েছে। শনিবার বোলপুর মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অশ্লীল ছবি তোলা এবং ভয় দেখানো— এই তিন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক ভাবেই ওই ছাত্রীর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল অভিযুক্ত ছাত্রটির। পাঠভবনে পড়তে আসার পর থেকে তিনিই ছিলেন ওই ছাত্রীর স্থানীয় অভিভাবক। শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সফিকুল। ছাত্রীটির অভিযোগ, সফিকুল মোবাইলে তাঁর কিছু অশ্লীল ছবি তোলে। পরে সেই ছবি প্রকাশ্যে আনার হুমকি দিয়ে একাধিক বার তাঁকে ধর্ষণ করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, বিগত পাঁচ মাস ধরে তিনি বেশ কয়েক বার যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। পরে পাঠভবনের অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানান ওই ছাত্রী। শুক্রবার রাতে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই সফিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বোলপুরের এসডিপিও সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “ছাত্রীটির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গবেষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
বিশ্বভারতীতে পর পর উঠছে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। এর আগে বিশ্বভারতীয় কলাভবনে পাঠরতা ভিন্ রাজ্যের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল কলাভবনের উপাচার্য ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ভিন্ রাজ্যের ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। ফের একই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy