হাসপাতালের বিছানায় জখম বিজেপি সমর্থক সুশান্ত মণ্ডল। ছবি : তাপস ঘোষ।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হুগলির ব্যান্ডেলের কেওটার বাসিন্দা সুশান্ত মণ্ডল। সম্প্রতি এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক পরচিতি বাড়ছিল। সে কারণেই তাঁকে রাস্তায় ফেলে ভোজালি, রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকার কয়েক জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় সুশান্তবাবু চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। রডের আঘাতে তাঁর ডান চোখে গভীর ক্ষত হয়েছে। বাঁ হাতে এবং মাথাতেও আঘাত রয়েছে সুশান্তবাবুর। যদিও তৃণমূলের দিকে ওঠা এই অভিযোগ মানতে চাননি দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। তাঁর দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দোল খেলাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা হয়েছে।” তবে বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কী ঘটেছিল ওই দিন?
পুলিশের কাছে অভিযোগে সুশান্তবাবু জানান, গাড়ি ভাড়া খাটানোর ব্যবসা রয়েছে তাঁর। দোল উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার তিনি কল্যাণীতে দাদার বাড়ি গিয়েছিলেন। বিকেলে তাঁর মোবাইলে নিতাই পাল নামে এলাকার এক বাসিন্দা ফোন করে। জানান, গুরুতর অসুস্থ এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। নিতাইয়ের কাছ থেকে ফোন পেয়ে নিজের মোটর বাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন সুশান্তবাবু। মগরার খেজুরিয়ার কাছে একটি জায়গায় নিতাই-সহ কয়েক জন যুবক তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তাদের প্রত্যেকের কাছেই ভোজালি, রড, লাঠি এবং দেশি পিস্তল ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন সুশান্তবাবু।
তাঁর অভিযোগ, মোটর বাইক দাঁড় করিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে ভোজালি, রড, লাঠি মারতে শুরু করে নিতাই এবং তার দলবল। তাঁর বাঁ হাতে ভোজালির কোপ পড়ে। রডের আঘাতে তাঁর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়ি থেকে কিছু দূরে এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় এলাকাতেও। সুশান্তবাবুর পরিবারের সঙ্গে এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ততক্ষণে ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরে স্থানীয়রাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেন পুলিশে।
সুশান্তবাবু জানান, আগে তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। কিন্তু দলের দুর্নীতি সহ্য করতে না পেরে বছর দু’য়েক আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় তাঁর পরিচিতি বাড়তে থাকে। তখন থেকেই নিতাই এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাঁকে শাসাতে শুরু করে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে মাঝেমধ্যেই হুমকির মুখে পড়তে হত। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy