এলাকা দখল নিয়ে বিবাদের জেরে মালদহের চাঁচলে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে চাঁচলের গোয়ালপাড়ার ২ নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃতের নাম ফিরোজ আলি। ফিরোজ আলি চন্দ্রকোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য সানিয়া বিবির স্বামী। তবে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোটের আগে থেকেই এলাকা দখল নিয়ে গোয়ালপাড়ায় দু’টি সমাজবিরোধী দলের মধ্যে বিবাদ চলছিল। দু’টি দলের একটির নেতা কুবের আলি ও অন্যটির শেখ জুনিয়র। এদের মধ্যে শেখ জুনিয়র দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামছাড়া ছিল। ভোটের কিছু দিন আগে সে গ্রামে ফিরে এলে ফের দু’টি দলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। বিবাদের জেরে খুন হন জুনিয়রের কাকা গফুর মিঞা। কুবের আলির দলের লোকেরাই তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
ঘটনাটি ঘটে ভোটের ঠিক পরেই। ফলে বিবাদ চরমে ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে শেখ জুনিয়রের ভাই ফিরোজ আলির উপর হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। পুলিশ জানায়, সেই সময় ফিরোজ চার বন্ধু সঙ্গে বাইকে করে ফিরছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্য হয়েছে। কুবের আলির দলের লোকেরাই ফিরোজকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর দাদা আনিবুল শেখ। তাঁর পরিবারের তরফ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি। চাঁচলের ২ নম্বর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হবিবুর রহমান বলেন, “নিহতের স্ত্রী দলের সদস্য হলেও তাঁর সঙ্গে দলের সে রকম কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনাটি পুরোপুরি অরাজনৈতিক।” পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ফিরোজ আলির পরিবারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই ফিরোজকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy