Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ইসলামপুরের হাসপাতালে ভাঙচুর

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ইসলামপুরের এক হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। চিকিৎসক-সহ রক্ষীদের মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ওই হাসপাতালে আসেন ইসলামপুর থানার গুঞ্জরিয়া এলাকার নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাফলুর বেগম। রাত ২টো নাগাদ তিনি একটি শিশুকন্যার জন্ম দেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মহিলা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। যদিও তা মানতে নারাজ ওই পরিবার।

ভাঙচুরের পর উল্টে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের চেয়ার-টেবল। অভিজিৎ পালের তোলা ছবি।

ভাঙচুরের পর উল্টে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের চেয়ার-টেবল। অভিজিৎ পালের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৫ ১৯:৫৯
Share: Save:

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ইসলামপুরের এক হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। চিকিৎসক-সহ রক্ষীদের মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ওই হাসপাতালে আসেন ইসলামপুর থানার গুঞ্জরিয়া এলাকার নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাফলুর বেগম। রাত ২টো নাগাদ তিনি একটি শিশুকন্যার জন্ম দেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মহিলা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। যদিও তা মানতে নারাজ ওই পরিবার।

সদ্যোজাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন সকালে হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হতে থাকেন ওই পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও এলাকার মানুষেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। পেশায় হাতুড়ে পশু চিকিৎসক সাফলুরের স্বামী নৌশাদ আলমের দাবি, “প্রসববেদনা ওঠার পর গত রাতে আমার স্ত্রীকে দেখতে কোনও চিকিৎসক সময় মতো আসেননি।” তাঁর আক্ষেপ, “ ঠিক সময়ে চিকিৎসকেরা এলে হয়তো শিশুটিকে বাঁচানো যেত।”

এ দিন ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর প্রথমে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই পরিবারের লোকজন। সেই সঙ্গে ভাঙচুর চালানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে চেয়ার-টেবল উল্টে দেন তারা। এমনকী, কর্তব্যরত চিকিৎসক-সহ রক্ষীদের মারধর করেন। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিবারের লোকেরা।

খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসডিপিও বৈভব তিওয়ারি বলেন, “হাসপাতালে সদ্যোজাতের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। তবে কোনও পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হাসপাতালের সুপার ছুটিতে থাকায় ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেন ভারপ্রাপ্ত সুপার সত্যাব্রত রায়। তিনি বলেন, “হাসপাতালে রোগীর বাড়ির লোকেরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ দিন চিকিৎসক ও রক্ষীদের মারধর করা হয়। নিগৃহীত চিকিৎসক কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। বিষয়টি সুপারকে জানানো হচ্ছে। উনি আসার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE