ছবি: এএফপি।
তিউনিশিয়ায় সন্ত্রাসবাদী হানায় নিহত হলেন ১৯ জন। পরে পুলিশি অভিযানে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী তিউনিশের জাতীয় মিউজিয়ামে। তিউনিশিয়া প্রশাসন সূত্রে খবর, জঙ্গিরা বেশ কয়েক জনকে পণবন্দিও করে রেখেছিল। নিহতদের মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনের নাগরিকেরা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেনার পোশাকে দুই বা তিন জন জঙ্গি তিউনিশিয়ার জাতীয় মিউজিয়াম বারদো-এ ঢুকে পড়ে। এর পরে তারা এলোপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে। সেখানেই ১৭ জন বিদেশি এবং তিউনিশিয়া-র দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়। এর পরে প্রায় ৩০ জনকে পণবন্দি করে জঙ্গিরা। পরে পুলিশি অভিযানে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পণবন্দিরাও মুক্তি পেয়েছেন। মিউজিয়ামটি তিউনিশিয়ার অন্যতম আকর্ষণ। তিউনিশিয়ার সংসদ ভবনের কাছেই অবস্থিত এটি। হামলার সময়ে তিউনিশিয়ার সংসদে সন্ত্রাসবিরোধী আইন নিয়ে বির্তক চলছিল। হামলার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভবন খালি করে দেওয়া হয়।
তিউনিশিয়ায় ‘আরব বসন্ত’র সূচনা হয়। ২০১০-এর ডিসেম্বরে ফলের ঝুড়ি পুলিশ নিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে এক ফলবিক্রেতা গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর পরেই প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রতিবাদের ঝড়ে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পরে শাসক-বিরোধী আন্দোলন ঝড়ের মতো উত্তর আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
অন্য আরব দেশগুলির মতো তিউনিশিয়াও ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। তিউনিশিয়ার ২৫০০ থেকে ৩৫০০ নাগরিক ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর মতো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই তিউনিশিয়ার প্রশাসন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তিউনিশিয়ার পাশেই রয়েছে লিবিয়া। লিবিয়ার সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তিউনিশিয়ার অবস্থাকে আরও ঘোরালো করে তুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy