কলেজের বারান্দায় ভাঙা ফুলের টব। (ডান দিকে) সংঘর্ষে আহত এক ছাত্র। সোমবার গৌর আচার্যের তোলা ছবি।
ফের উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। এ বার বামপন্থী শিক্ষাকর্মীদের একাংশের উপর হামলার অভিযোগ উঠল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। টিএমসিপি-র পাল্টা অভি়যোগ, তাদের উপর হামলা চালিয়েছে বামপন্থী শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। দু’পক্ষের অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে সোমবার ফের উত্তপ্ত হল কলেজ চত্বর।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ। বহিরাগতদের কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে বলায় কলেজের বামপন্থী শিক্ষাকর্মীদের একাংশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধে। পক্ষান্তরে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ায় টিএমসিপি সমর্থকদের উপর পাল্টা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কলেজের বামপন্থী শিক্ষাকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, টিএমসিপি সমর্থকেরা কলেজের দোতলায় বারান্দায় রাখা একাধিক ফুলের টব ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। যদিও টিএমসিপি-র দাবি, বামপন্থী শিক্ষাকর্মীরাই টবগুলি ভাঙচুর করেছেন। গোলমাল চলাকালীন টবের আঘাতে শিক্ষাকর্মী এবং টিএমসিপি সমর্থক নিয়ে মোট চার জন জখম হয়েছেন।
ওই ঘটনার পর কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নিরাপত্তার দাবিতে অধ্যক্ষ প্রবীর রায়কে ঘেরাও করেন বামপন্থী শিক্ষাকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন কর্মবিরতিও পালন করেন তাঁরা। শিক্ষাকর্মীদের চাপে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হন। অন্য দিকে, তাদের উপর হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষাকর্মীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে টিএমসিপি-ও। খবর পেয়ে কলেজে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এসএফআই এবং টিএমসিপি— দু’পক্ষের সঙ্গেই দফায় দফায় বৈঠক করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অধ্যক্ষের আশ্বাসে অবশেষে বিকেল ৪টে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। মোট ৪২ আসনের মধ্যে ২৩ আসনে জয়ী হয়ে ছাত্র সংসদ পুনর্দখল এসএফআই। টিএমসিপি পায় ১৯ আসন। মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের বোর্ড গঠন হওয়ার কথা থাকলেও এ দিনের গোলমালের জেরে কলেজে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় আদৌ তা সম্ভব হবে কি না, সে নিয়ে সংশয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy