মাসারত আলম।
দেশ জুড়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারত আলমকে ফের গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের ট্রালের একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত মাসের ৭ তারিখ জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মাসারাত আলমকে। পিডিপি সরকারের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়ে শরিক বিজেপি। ওই নেতার মুক্তি নিয়ে সমালোচনা করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং জম্মু-কাশ্মীরের নবগঠিত জোট সরকারকে এক হাত নেন বিরোধীরা। ছাড়া পেয়েই অবশ্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মাসারাত। তাঁর মুক্তি যে আইন মেনেই হয়েছে তা-ও জানিয়ে দেন তিনি। এর পর গত বুধবার শ্রীনগরের একটি জনসভায় ফের দেশ বিরোধী কাজ করেন আলম। হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি গিলানির সেই সভায় পাকিস্তানের পতাকা হাতে দেখা যায় মাসারত এবং তাঁর সঙ্গীদের। এমনকী হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান পাক জঙ্গি হাফিজ সইদের প্রশংসা করেন তিনি। যদিও মাসারাত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পাকিস্তানের পতাকা তোলার অভিযোগ অস্বিকার করেন।
এর পরেই দেশ জুড়ে তাঁকে ফের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। কড়া অবস্থান নেয় কেন্দ্রও। বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই নেতাদের গ্রেফতার অথবা নিদেনপক্ষে গৃহবন্দি করার পরামর্শ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রের ‘পরামর্শ’ মেনে মাসারাত এবং গিলানিকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয় জম্মু-কাশ্মীর সরকার। এবং এর এক দিন পরই গ্রেফতার করা হল মাসারাতকে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার না করা হলেও গিলানিকে আপাতত গৃহবন্দি রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুফতি সরকার।
সূত্রের খবর, আলমের নেতৃত্বে এ দিন কাশ্মীরের ট্রাল শহরে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। যদিও সেই সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে সেনার গুলিতে শহরে এক জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এ দিন জনসভার ডাক দেন আলম। গ্রেফতারের পর আলম বলেন, ‘‘সরকারের যা ইচ্ছা করতে পারে। আমরাও আমাদের নীতি মেনেই এগিয়ে যাব। হুরিয়তকে অনুসরণ করা উচিত দেশবাসীর।’’
দেশ বিরোধী মনোভাবের জন্য শরিক বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এর আগেও একাধিক বার আলমকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু এত দিন তাতে আমল বিশেষ দেয়নি জম্মু-কাশ্মীর সরকার। পতাকা কাণ্ডের পর আলমকে গ্রেফতার না করা হলে পরবর্তী ক্যাবিনেট মিটিং বয়কট করার কড়া বার্তা দেয় বিজেপি। এর পরই এ দিন গ্রেফতার করা হল মাসারাতকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy