—ফাইল চিত্র।
তিনি আদতে ফকির। আর ফকির হিসেবেই মানুষের পাশে থাকতে চান। এ কথা জানিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যপদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন বাবা রামদেব। মঙ্গলবার দিল্লির কাছে রাইয়ে তাঁর সম্মানার্থে আয়োজিত হরিয়ানা সরকারের এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
হরিয়ানা সরকারের তরফেই বাবা রামদেবের কাছে মন্ত্রিসভায় সদস্যপদের প্রস্তাব এসেছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ এর আগে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, যোগ ব্যায়াম ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উন্নয়নে অবদানের জন্য বাবা রামদেবকে হরিয়ানায় বিজেপির দূত করা হয়েছে। এ বার তাঁকে এই রাজ্যে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এ দিনের সভায় রামদেব বলেন, “মানুষের সেবা করাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। তার জন্য কোনও সরকারি পদের প্রয়োজন নেই। হরিয়ানা সরকার যে আমায় এই সম্মানের যোগ্য বলে মনে করেছেন, সে জন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমি ফকির, ফকির থেকেই মানুষের সেবা করতে চাই।”
রাইয়ে এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রামবিলাস শর্মা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ, কবিতা জৈন প্রমুখরাও। তাঁদের উপস্থিতিতে পদ্ম সম্মানের প্রসঙ্গ টেনে রামদেব বলেন, “আমি সব রকম সরকারি সম্মানের ঊর্ধ্বেই থাকতে চাই। মানুষের সেবা করার জন্য আমার কোনও সরকারি সম্মানের প্রয়োজন নেই।”
রামদেবের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য অখুশি নয় হরিয়ানা সরকার। বরং মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের মতো করে বাবাকে সম্মান জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় ভারতীয় ঋষি এবং তাঁদের সাধনপন্থায় আমার আস্থা আরও দৃঢ় হল।” আরও এক ধাপ এগিয়ে রামবিলাস শর্মা বলেন, “বাবার মতো মানুষের পক্ষে এই সম্মান কিছুই নয়। আমরা মন্ত্রীরা তো তাঁর চরণতলে ধুলোর মতো! তিনি যা বলবেন, তাই হবে।” পাশাপাশি তিনি এও জানান, শিক্ষামন্ত্রক এ বার হরিয়ানার স্কুলে ভগবদ্গীতা পড়ানো এবং যোগ প্রশিক্ষণ চালু করার কথা ভাবছে। এ ব্যাপারে বাবা রামদেবের সাহায্যও চেয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy