যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে নামছে সেই বিমান। ছবি: এএফপি।
সকাল পৌনে সাতটা। মথুরার কাছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ওই সাত সকালেই লম্বা জ্যাম। কী হয়েছে? ভাল করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক্সপ্রেসওয়ের ফাঁকা লেনের উপর নেমে এল বায়ুসেনার একটি বিমান। কয়েক সেকেন্ড পরেই প্রচণ্ড শব্দ করে ফের উড়ে গেল বিমানটি।
বৃহস্পতিবার সকালে এমনই এক অভাবনীয় দৃশ্যের সাক্ষী থাকল যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের একাধিক মানুষ। সেনা সূত্রে খবর, আপত্কালীন পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়কের মতো কোনও জায়গায় বিমান নামানো সম্ভব কি না, তা দেখার জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। আগে থেকেই ঠিক হয়ে ছিল, বৃহস্পতিবার যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে যুদ্ধবিমান নামাবে তারা। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের এই পরিকল্পনার কথা জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং জেলার পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছিল। একটি বিবৃতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, জেলাশাসক এবং জেলার পুলিশ সুপারের উপস্থিতি আর সহযোগিতায় পরীক্ষাটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী নেমে আসার আগে এক্সপ্রেসওয়ের ১০০ মিটার উপরে এক বার চক্করও মেরেছে সেনাবাহিনীর ওই মিরাজ বিমানটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র সিতাংশু কর টুইটারে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিমান নামানোর ছবিও পোস্ট করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে আগে থেকে না জানানোয় ব্যাপক সমস্যা হয় এক্সপ্রেসওয়ের যান চলাচলে।
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে যে আপত্কালীন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে রাস্তার উপর যে কোনও সময়ে বিমান নামাতে পারে তারা। প্রসঙ্গত, জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চেকোস্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলিতে হাইওয়ের উপর আপত্কালীন পরিস্থিতে বিমান নামানো নতুন কোনও ঘটনা নয়। বেশ কয়েক বার ওই দেশগুলি এ রকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। এ বার ভারতও সেই পথেই এগোচ্ছে।
ভারতীয় বায়ুসেনা গত মাসে ১০,০০০ কোটির চুক্তিতে ফ্রান্সের কাছ থেকে দু’টি অত্যাধুনিক মিরাজ-২০০০ বিমানও কিনেছে। এর আগে ১৯৮০ সালেও তারা ৪৯টি মিরাজ-২০০০ বিমান কিনেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy