‘রং রসিয়া’ এবং কেতন মেহতা।—ফাইল চিত্র।
দু’দিন পরে এ দেশের হলগুলিতে বাণিজ্যিক ভাবে মুক্তি পাওয়ার কথা কেতন মেহতার ছবি ‘রং রসিয়া’র। শুক্রবারের সেই প্রদর্শনের আগে আদালতের নির্দেশ পেলেন পরিচালক। কেরলের মাভেলিক্কারা মুন্সিফ কোর্ট মঙ্গলবার এক রায়ে ওই ছবিটি প্রদর্শনে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ‘রং রসিয়া’ নিয়ে সম্প্রতি কেরল হাইকোর্টেও অন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
১৯ শতকের ভারতীয় চিত্রশিল্পী রাজা রবি বর্মাকে নিয়ে কেতনের এই ছবি। মরাঠা সাহিত্যিক রঞ্জিত দেশাইয়ের ‘রাজা রবি বর্মা’ উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবিটি ২০০৮ সালে প্রথম প্রদর্শিত হয় লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে। ভারতে যদিও এই ছবিটি সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন না পাওয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে মুক্তি পায়নি। বহু কাঠখড় পোড়ানো শেষে আগামী ৭ নভেম্বর এ দেশে বাণিজ্যিক ভাবে মুক্তি পাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছে ‘রং রসিয়া’র। কিন্তু বাধ সেদেছে আদালত।
সম্প্রতি রবি বর্মার নাতনি ইন্দিরাদেবী কুঞ্জামা কেরলের ওই মুন্সিফ কোর্টে অভিযোগ করেন, কেতনের ওই ছবির সঙ্গে চিত্রশিল্পী রবি-র ব্যক্তি জীবনের কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সে কথা না বলে বরং উল্টোটাই প্রচার করছেন। শুনানি শেষে আদালত জানায়, ওই শিল্পীর ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে ‘রং রসিয়া’র কোনও মিল নেই, এমন ঘোষণা ছাড়া ছবি মুক্তিতে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হল।
ইতিমধ্যে প্রায় একই অভিযোগে কেরল হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে আবেদনকারী জানিয়েছেন, ছবিটিতে পরিচালক চিত্রশিল্পী রবিকে এঁকেছেন এক জন ‘প্লে বয়’ হিসেবে। অথচ ব্যক্তি জীবনে তেমনটা ছিলেন না রবি বর্মা। আবেদনকারীর দাবি, কেতনকে ছবির প্রচারে জানাতে হবে, ‘রং রসিয়া’ কোনও ভাবেই ওই চিত্রশিল্পীর জীবনীর উপর ভিত্তি করে নয়।
রণদীপ হুডা এবং নন্দনা সেন অভিনীত এই ছবি এর আগেও বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে। ২০০৮ সালে খোদ সেন্সর বোর্ড ছবিটির মুক্তি আটকে দেয়, কিছু ‘বোল্ড’ দৃশ্য এবং ‘নগ্নতা’র কারণে। শেষে মুক্তির দিন ঘোষিত হলেও ফের তা আদালতের নির্দেশে আটকে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy