ছত্তীসগঢ়ে সরকারি উদ্যোগে মহিলাদের বন্ধ্যাকরণ শিবিরে ১১জনের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিত্সক আর কে গুপ্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তুলে আনে তাঁকে। গত শনিবার মহিলাদের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেন চিকিত্সক গুপ্ত। এ দিন তিনি বলেন, “ এটা আমার ভুল নয়। লক্ষ্য পূরণ করতে প্রশাসন আমায় চাপ দিয়েছিল। অস্ত্রোপচার ভালই হয়েছিল কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরে যে ওষুধগুলি দেওয়া হয়েছিল তাতেই সমস্যা হয়। ”
গত শনিবার সরকারি শিবিরে বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার করিয়ে বিলাসপুরে মারা গিয়েছেন ১১ জন মহিলা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এখনও ৬৯ জন। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক গুপ্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
এরই পাশাপাশি বুধবার সকালে বিলাসপুর থেকে একশ কিলোমিটার দূরে গৌরেলায় একটি বন্ধ্যাকরণ শিবিরে অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যু হল এক মহিলার। অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও ৩ জন মহিলা।
কিন্তু এক জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে কী ভাবে ঘটল এমন ঘটনা?
অভিযোগ, ৫৯ বছর বয়সী এই চিকিত্সক বিলাসপুরের ওই শিবিরে ৮৩ জন মহিলার বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার করেছিলেন মাত্র মাত্র পাঁচ ঘণ্টায়। অভিযোগ উঠেছে, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামগুলি গত এপ্রিল মাস থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। যার ফলেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
সরকারের কাছ থেকে দশ দিনের মধ্যেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে ছত্তীসগঢ় হাইকোর্ট। সরকারি সূত্রের খবর, এক লক্ষেরও বেশি সফল বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার করার জন্য পুরস্কৃত ওই চিকিৎসকে মঙ্গলবার থেকেই সাসপেন্ড করেছে সরকার। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (এইমস)-এর সাত সদস্যের চিকিৎসকের একটি দল বিলাসপুর পৌঁছয়। গোটা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy