এক বুধবারে তাঁকে ফোন করে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছিল। ঠিক এক সপ্তাহ পর সেই বুধবারেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই সূত্রের দাবি ছিল, সারদাকে যাঁরা বিভিন্ন ব্যাপারে সুবিধা করে দিয়েছেন সেই তালিকায় শুভেন্দুবাবুর নাম রয়েছে। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেন তিনি। ছিলেন দুপুর প্রায় ২টো পর্যন্ত। সিবিআই দফতর থেকে বেরোনোর সময় শুভেন্দু বলেন, “ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬০ ধারায় আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমার বক্তব্য সিবিআইকে জানিয়েছি। কিন্তু কী কথা হয়েছে, সেটা আমি বলব না।”
সিবিআই যখন শুভেন্দুকে ফোন করে ডেকেছিল, তার পরে তিনি বলেছিলেন, “সারদার কোনও কারবারে আমার যোগ নেই। ফলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।” তৃণমূল সাংসদের দাবি ছিল, কুণাল ঘোষ তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ করেছিলেন। তাঁরই প্রেক্ষিতে কুণালেন নামে মানহানির মামলা করেন শুভেন্দু। সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার পাঁশকুড়ার এক সভায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু। মঞ্চে তাঁর পাশে ছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। দু’জনকে এক মঞ্চে এই বিষয়ে সরব হতে দেখে বিরোধীরা কটাক্ষ করেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার সতেরো মাস পর জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ সিংহ চৌহান। তিনি ওই দিন দাবি করেন, গত ৭ এপ্রিল রাতে সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে সুদীপ্তের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল কাঁথির সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি সে কথা সিবিআইকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন অরবিন্দ। এ দিন অরবিন্দের এই অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসা করা হলে শুভেন্দু বলেন, “১১ মাস জেলখাটা কোনও লোকের কথার জবাব আমি দেব না। মানহানির মামলা করব।” এর পরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সুদীপ্ত সেনকে চেনেন? জবাবে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আপনি যে ভাবে চেনেন, আমিও সেই ভাবেই চিনি।” এ দিন সিবিআইয়ের কাছে কোনও নথি তিনি জমা দিয়েছেন কি না, তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, “আমি কিছু বলব না। সিবিআইয়ের কাছ থেকে শুনে নিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy