বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান দখলের পর উচ্ছ্বাস ডাচদের। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ম্যাচটা নাকি খেলার ইচ্ছাই ছিল না নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচের আগে ডাচ কোচ ফান গল সাংবাদিকদের জানিয়েওছিলেন সে কথা। বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারী ম্যাচের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তবে কোচের ইচ্ছা যে রবেনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ছিল না তা হাড়ে হাড়ে বুঝে গেল ব্রাজিল। সেমিফাইনালে ৭ গোলে চূর্ণ হওয়ার পর এ দিনের ম্যাচেও ৩ গোল খেল স্কোলারির ছেলেরা।
অথচ ফান গলের মন্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীতে হেঁটে শনিবারের ম্যাচকে সেলেকাওদের মর্যাদার লড়াই বলেছিলেন স্কোলারি। জার্মানির কাছে নাস্তানাবুদ হওয়াকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে জানিয়েছিলেন আগামী এক হাজার বছরে ব্রাজিল আর কখনও ৭ গোল হজম করবে না। এ দিনের ব্রাসিলিয়া কিন্তু একেবারেই তার উল্টো কথা বলল। ডাচ আগ্রাসন দেখে মনে হচ্ছিল ফের না ৭ গোলের লজ্জা নিয়ে ফেরে লুইজ-সিলভারা। দলের মনোবল বাড়াতে ব্রাজিলের রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন নেইমার। ম্যাচ জিততে মরিয়া স্কোলারি ছ’টি পরিবর্তন করেছিলেন এ দিন। তবে নতুনরাও আলো ফোটাতে ব্যর্থ হল ব্রাজিল শিবিরে। ম্যাচ শেষে স্কোলারি দাবি করলেন তাঁর দল যথেষ্ট ভালো খেলেছে। এমনকী ফেডারেশন চাইলে ব্রাজিল কোচ হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতেও রাজি তিনি। তবে ফেডারেশনের আগেই সম্ভবত তাঁকে উত্তর দিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের সমর্থকরা। শনিবার মাঠের বড় পর্দায় যতবারই স্কোলারির মুখ দেখা গেছে তাঁকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে ব্রাসিলিয়ার ৭০ হাজার সমর্থক। খেলা শেষের পর জাতীয় দলকেও বিদ্রূপ করেন তাঁরা। ফলে এর পর স্কোলারির চাকরি বাঁচানো বেশ কঠিন বলেই আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy