বন্ধ ব্যাঙ্ক ও এটিএম। —ফাইল চিত্র।
তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার। ব্যাঙ্ক অফিসার এবং কর্মীদের ৯টি ইউনিয়নের যৌথ সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স (ইউএফবিইউ)-এর ডাকে দশ দফা দাবিতে এ রাজ্য-সহ পূর্বাঞ্চলের সবক’টি রাজ্যে চলছে ধর্মঘট। ব্যাঙ্কের পাশাপাশি প্রায় স্তব্ধ এটিএম পরিষেবাও। গত মাসের ১২ তারিখ একই দাবিতে ডাকা হয়েছিল ধর্মঘট। আর এ বার সংগঠনের ডাকে চলছে রিলে ধর্মঘট। অঞ্চলভিত্তিক এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। দক্ষিণ এবং উত্তরাঞ্চলের পর তৃতীয় দিনে পূর্বাঞ্চলের পালা। ব্যাঙ্ক শিল্পে বেতন সংশোধন দ্রুত করার দাবিতে ওই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক বিলগ্নিকরণ প্রস্তাবের বিরোধিতা করাও ধর্মঘটের উদ্দেশ্য।
এ দিনের ধর্মঘটে এটিএম পরিষেবাও যে ব্যাহত হবে বলে তা আগাম জানিয়েছিলেন ইউনিয়নের নেতারা। এটিএমের বেশির ভাগ নিরাপত্তারক্ষী সংগঠনের সদস্য হওয়ায় তাঁরাও সামিল হয়েছেন এই আন্দোলনে। তবে হাসপাতালগুলির কাছাকাছি যে সব এটিএম রয়েছে সে গুলি খোলা রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফ। এটিএম বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকেরা। বেশির ভাগ জায়গায় তা বন্ধ থাকায় হাসপাতাল সংলগ্ন এটিএম গুলিতে ভিড় করছেন তাঁরা। ফলে সে গুলিতে দ্রূত শেষ হয়ে আসছে টাকার পরিমাণ।
দ্রুত বেতন সংশোধন করার দাবিতে এবং বিলগ্নিকরণের উদ্যোগের বিরোধিতা করার জন্য চলতি বছরে ইতিমধ্যেই তিন দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘট করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর ওই দু’টি দাবি-সহ মোট দশ দফা দাবিতে দেশ জুড়ে ধর্মঘট করে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি। ওই দিনই ঘোষণা করা হয়েছিল, দাবি মানা না-হলে এর পর আঞ্চলিক ভিত্তিতে ধর্মঘট করা হবে। সেই মতোই ৪ ডিসেম্বরে পূর্বাঞ্চলে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইউএফবিইউ-এর আহ্বায়ক বিশ্বাস উটাগি বলেন, “সরকার এবং ব্যাঙ্কিং অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) ধর্মঘট বন্ধ করে আলোচনা করতে চায়। আমরা এই প্রস্তাবে রাজি নয়। আমাদের দাবিগুলি নিয়েও সরকার মানবিক নয়।” সরকারের তরফ আইবিএ বারবার ধর্মঘট স্থগিতের আর্জি জানালেও তাতে কাজ হয়নি। আইবিএ-এর তরফে জানানো হয়, সংগঠনগুলির ২৩% বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব মানা অসম্ভব। ১১% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধিতে সরকার রাজি হলেও তা মানতে চায়নি সংগঠনগুলি। এই দাবিগুলি ছাড়াও ব্যাঙ্কের কাজের দিনের সংখ্যা ছয় থেকে কমিয়ে পাঁচ দিন করারও দাবি রয়েছে সংগঠনগুলির। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy