ফের তিহাড় জেলেই গেলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। শুক্রবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট এই রায় দেয়। বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি নীতিন গডকড়ীর দায়ের করা মানহানি মামলায় জামিনের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় গত বুধবারই অরবিন্দকে দু’দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আদালত। এ দিন মামলার শুনানিতে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত হেফাজতের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ দিন আদালতে কেজরীবালের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, মামলাটি রাজনাতিক। তাই আম আদমি পার্টির নীতি অনুসারে জামিনের দশ হাজার টাকা দিতে তাঁরা রাজি নন। তিনি আরও জানান, এই ধরনের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় না। তাই জামিনের টাকা দেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিপক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ।
গত জানুয়ারিতে বিজেপি ও কংগ্রেস মিলিয়ে একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই তালিকায় ছিলেন বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি নীতিন গডকড়ীরও। গডকড়ীকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলে দাবি করেন কেজরীবাল। কিন্তু ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে কেজরীবালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গডকড়ী। দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোমতি মানোচার অনুরোধ উপেক্ষা করে গডকড়ীর দায়ের করা মানহানির মামলায় জামিন নিতে অস্বীকার করে কার্যত নিজের ইচ্ছেতেই তিহাড় জেলে যান আম আদমি পাটির নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy