কাঠুয়ায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন।
নির্বিঘ্নেই শেষ হল ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চম তথা শেষ দফার নির্বাচন। এর আগের চার দফার প্রতিটিতেই দু’রাজ্যে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বারে ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার ১৬টি কেন্দ্রের সঙ্গে ভোট হল জম্মু-কাশ্মীরের ২০টি আসনে। বছর শেষের ঠাণ্ডা এবং বেশ কিছু জায়গায় ভোট বয়কটের হুমকিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চম দফাতেও দেখা গেল ভোটারদের লম্বা লাইন। শনিবার ঝাড়খণ্ডে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং কাশ্মীরে ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে থবর।
ঝাড়খণ্ডে ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সকালে ভোটের হার ছিল খুবই কম। তবে বেলা বাড়তেই দেখা গেছে লম্বা লাইন। কেন্দ্রগুলির মধ্যে মাওবাদী অধ্যুষিত পাকুড়, শিকারিপাড়া, লিট্টিপাড়া এবং দুমকার ৯৬টি কেন্দ্রকে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ওই ৯৬টি কেন্দ্র-সহ মোট ৮৩৩টি বুথকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। লিট্টিপাড়ার একটি বুথে স্থানীয় সমস্যাকে ইস্যু করে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। পরে প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
দুপুর ৩টেয় শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। মোট ২০৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ৩৭ লক্ষ ভোটার। এই দফার ভোটে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং স্পিকার শশাঙ্ক শেখর ভোকটা।
পাকুড়ে লম্বা লাইন ভোটারদের।
জম্মু, কাঠুয়া এবং রাজৌরির মোট ২০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় কাশ্মীরে। আবহাওয়া এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠিগুলির চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ভোট শুরুর অনেক আগে থেকেই বুথের বাইরে লাইন দিয়েছেন ভোটাররা। জম্মুর নির্বাচনী অফিসার অজিতকুমার সাহু বলেছেন, “দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোনও গোলমালের খবর নেই। রাজ্য মোট দু’শো কোম্পানি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। ৩১২ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হবে এই দফায়। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ-সহ মন্ত্রিসভার চার সদস্য। এঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ১৮ লক্ষ ভোটার।
দুই রাজ্যেই ভোটের ফল আগামী মঙ্গলবার। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় কাজ করেছে মোদী-ম্যাজিক। এ বারেও সেই সম্মোহনের অপেক্ষায় বিজেপি।
ছবি: পিটিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy