জামিন পেল মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী জাকিউর রহমান লাকভি। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে। যদিও পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফটিএ) এই জামিনের বিরোধিতা করেছিল। পাক-প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, কিছু পদ্ধতিগত ভুলে জামিন মঞ্জুর হয়েছে। উচ্চ আদালতে এই জামিনের বিরোধিতা করা হবে। পেশোয়ার হামলার পরে এই রায় পাক-সরকারকে চাপে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিন ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী কোর্ট পাঁচ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে লাকভির জামিন মঞ্জুর করে। লাকভি-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে ২০০৮-এ মুম্বই হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিল এফটিএ। এ দিন লাকভির সঙ্গে হামাদ আমিন সাদিক, শাহিদ জামিল রিয়াজ, ইউনুস অঞ্জুম, জামিল আহমেদ, মজহর ইকবাল এবং আবদুল মাজিদও জামিনের আবেদন করে। তবে জামিন পেয়েছে শুধু লাকভিই। এরা সবাই এখন পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে বন্দি আছে।
মুম্বই হামলার সময়ে লস্কর-ই-তৈবার কার্যকরী দায়িত্বে ছিল লাকভি। লাকভি অন্য এক সহযোগী জারার শা-কে সঙ্গে নিয়ে মুম্বই হামলার ছক কষেছিল। এই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। লাকভির বিচার নিয়েও নানা ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯-এ মামলাটি প্রথমে রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী কোর্টে ওঠে। পরে ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী কোর্টে মামলাটি সরিয়ে আনা হয়। চলতি বছরের মার্চে ইসলামাবাদের জেলা আদালতে হামলার পরে ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী কোর্টের বিচারক নিরাপত্তার খাতিরে এই মামলার বাকি সাত জনের বিচার করতে অস্বীকার করেন। ফলে বেশ কিছু দিন শুনানি বন্ধ ছিল।
পেশোয়ার হামলার পরে পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে চান তিনি। জানিয়েছিলেন, ভাল বা খারাপ তালিবান বলে কিছু হয় না। পাশাপাশি সন্ত্রাসের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির উপরে স্থগিতাদেশও তুলে নেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে লাকভি-র জামিন পাক সরকারের উপরে চাপ বাড়াল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারতও। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। দ্রুত ব্যবস্থা নিক পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy