Advertisement
E-Paper

শিক্ষক-পড়ুয়ার অভাবে বাঁকুড়ায় সাত মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা ২০ জনের কম হলে, সেই পড়ুয়াদের নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করতে হবে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৮
Share
Save

পড়ুয়ার সংখ্যা কম, এই কারণ দেখিয়ে বাঁকুড়া জেলার সাতটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির পড়ুয়াদের নিকটবর্তী উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।

রাজ্যের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এবং স্কুলছুট পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযোগী করে তুলতে গড়ে তোলা হয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় স্কুলগুলি। করোনা অতিমারির পর থেকে কোথাও শিক্ষক আবার কোথাও পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হতে শুরু করে বিভিন্ন জেলার একাধিক শিশু এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত যার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০০। এর মধ্যে রয়েছে ১০০০টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র এবং ২০০-র বেশি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র।

এই প্রসঙ্গে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “সরকারি এই সিদ্ধান্তে গ্রামাঞ্চলের পড়াশোনা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে ভাবা দরকার।”

উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা ২০ জনের কম হলে, সেই পড়ুয়াদের নিকটবর্তী স্কুলে ভর্তি করতে হবে। আবার কোনও কোনও কেন্দ্রে পড়ুয়া সংখ্যা বেশি হলেও কিন্তু শিক্ষক রয়েছে এক বা দু’জন। বিভিন্ন জেলার এই সমস্ত শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকেই বন্ধ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। একই সঙ্গে ওই স্কুলগুলির পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের স্থানীয় স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করার কথাও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৬ হাজার এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দেড় হাজার। যেখানে শিক্ষক ছিল ৬০ হাজারের বেশি। বর্তমানে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার। অন্য দিকে, পড়ুয়ার সংখ্যা ১৮ লক্ষ থেকে কমে হয়েছে ১০ লক্ষ। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষকদের বেতন তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এর পেছনে নিয়মমাফিক শিক্ষক নিয়োগ না হওয়াকেই দায়ী করছে শিক্ষকমহলের একাংশ।

এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শুধু এসএসকেএমএসকে নয়, আমাদের রাজ্যের অনেক সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধের মুখে। এগুলো বাঁচানোর জন্য সরকারের কোনও উদ্যোগী ভূমিকা দেখছি না। সরকারের উচিত বিকল্প চিন্তাভাবনা করা।”

School Education Department West Bengal Closure of MSKs and SSKs School Closure in West Bengal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।