প্রতীকী ছবি।
শিক্ষার্থীদের চাকরিজীবন শুরুর পথ মসৃণ করতে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৩ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষানীতির মতো রাজ্য শিক্ষানীতিতেও পড়ুয়াদের বিভিন্ন সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির সিমেস্টার পদ্ধতিতেও সেই মতো শিক্ষানবিশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বার রাজ্যের এই ভাবনাকে আরও সহজ করে দেবে কেন্দ্র। এক কোটি পড়ুয়াকে নামজাদা সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বাজেটে এই নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর ফলে কি দূর হবে বেকারত্ব? ইন্টার্নশিপের পথই কি তরুণ-তরুণীদের চাকরি জীবন শুরুর ক্ষেত্রে সুবিধা আনবে? কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে কী ভাবছে বাংলার শিক্ষামহল?
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে ইন্টার্নশিপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা এই ব্যবস্থা শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের কোনও বড় সংস্থার কাজের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হওয়া খুব জরুরি। পড়াশোনার পাশাপাশি এই ইন্টার্নশিপের ফলে শিক্ষার্থীদের কাজের প্রতি আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে।’’
উচ্চ শিক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল কাউন্সিল (এআইটিসি)-র গাইডলাইন মেনে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া বেশির ভাগ স্ট্রিমে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা নেই। ফলে পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা থাকে না বললেই চলে। পরে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে বাংলার শিক্ষামহলের একাংশ।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার বলেন, ‘‘ রাজ্যে ইতিমধ্যেই ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশ কিছু বিষয়ে পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের এ বারের বাজেটে স্নাতক স্তরে ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যা অত্যন্ত ভাল।’’
প্রসঙ্গত, আগামী পাঁচ বছরে দেশের অন্তত ৫০০টি শীর্ষস্থানীয় সংস্থায় ইন্টার্নশিপের জন্য ডাক পাবেন তরুণ-তরুণীরা। ইন্টার্নশিপ চলাকালীন পাঁচ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা এবং ছ’হাজার টাকার এককালীন ভাতা পাবেন তাঁরা। কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি তহবিল (সিএসআর) থেকে এই খরচ করতে হবে। প্রথম বার যাঁরা চাকরির বাজারে পা রাখছেন, এই ধরনের ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন শুধু তাঁরাই। বাজেটে নতুন প্রকল্পের ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাবরই ইন্টার্নশিপের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হত। যার ফলে পড়াশোনা শেষের পর নামী সংস্থায় ভাল চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকে পড়ুয়ারা। কেন্দ্রের ঘোষণা ও রাজ্যের আগে থেকে যে নীতি রয়েছে, দুয়ে মিলে পড়ুয়াদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy