প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোট মিটতেই রাজ্যে প্রধানশিক্ষক পদে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করল সরকার। ৫০ শতাংশের বেশি স্কুলে প্রধানশিক্ষক নেই। দ্রুত সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি তৈরি শেষ করা হয়েছে। এখন মুখ্যন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় শিক্ষা দফতর।
২০১৯ সালে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শেষ বারের মতো প্রধানশিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ পাঁচ বছর নিয়োগ থমকে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুল মিলিয়ে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ নিয়োগের সময় প্রধানশিক্ষকের শূন্য আসন ছিল প্রায় আড়াই হাজার।
এ প্রসঙ্গে, অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “আমরা চাইছি রাজ্যের অধিকাংশ বিদ্যালয় যে ভাবে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে, তাতে দ্রুত প্রধানশিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। প্রধানশিক্ষক ছাড়া কোনও ভাবেই স্কুল চলতে পারে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।”
২০২৩ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বচ্ছ নিয়োগের জন্য বিধি তৈরি করে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠিয়েছিল। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়। সূত্রের খবর, প্রধানশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে ওএমআর শিটের মাধ্যমে। প্রত্যেক পদপ্রার্থীকে ওএমআর শিটের ‘ডুপ্লিকেট কপি’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া, নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “২০১৯-এর পর থেকে প্রধানশিক্ষক পদে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা রকমের সমস্যা হচ্ছে। টিচার ইনচার্জ দিয়ে দীর্ঘদিন স্কুল চালানো বেশ কঠিন। বহু স্কুলেই ছাত্র সংখ্যার নিরিখে সহ-প্রধান শিক্ষকের পদ তৈরি করা হয়। ফলে প্রশাসনিক সঙ্কটে স্কুলগুলি। উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত নতুন নিয়োগ প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র সংখ্যার ভিত্তিতে সহ-প্রধানশিক্ষকের পদ তৈরি করা হয়। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৫০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ুয়া সংখ্যা ১০০০।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগে নিয়োগ বিধি সংশোধনের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তা মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত এলেই সংশোধিত নতুন বিধি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এই অনুমোদন পেলেই শূন্য আসনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে আর বাধা থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy