বন্যপ্রাণ এবং অরণ্য সংরক্ষণের কাল্পনিক রূপ (ডানদিকে) এবং পড়ুয়াদের পাখি চেনাচ্ছেন এক বিশেষজ্ঞ (বাঁদিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দৈনন্দিন জীবনে পরিবেশবান্ধব শব্দটি অজানা কিছু নয়। এর সঙ্গে অরণ্য এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও তাদের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। এই সমস্ত বিষয়গুলিই হাতে কলমে শেখাতে তিন মাসের বিশেষ কোর্স করাবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ় (সিইএস)। নেচার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সোস্যাইটি (নিউজ)-এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আগ্রহীদের বন্যপ্রাণ এবং অরণ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় শেখানো হবে। কোর্সের নাম, ‘ফরেস্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজ়ারভেশন’।
প্রসঙ্গত, সিইএস ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কনটিউনিয়িং অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন (সিসিএই)-এর অধীনে সমস্ত কোর্সগুলি করিয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট কোর্স সম্পর্কে সিসিএই-র কর্মী সৌভিক বক্সী জানিয়েছেন, দ্বাদশ উত্তীর্ণ থেকে শুরু করে যে কোনও বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীরা এই কোর্সটি করার সুযোগ পাবেন। কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। তাঁদের কী কী বিষয় শেখানো হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই সম্পর্কিত একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কোর্সটি কী উদ্দেশে করানো হচ্ছে? সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল নিউজ-এর যুগ্ম সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিএই-র ফ্যাকাল্টি মেম্বার অজন্তা দে-র কাছে। তিনি বলেন, “যাঁরা অরণ্য কিংবা প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট লেখেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তেমন ভাবে জ্ঞান নেই, কিংবা পুঁথিগত বিদ্যাকে পেশাগত ভাবে ব্যবহারের দক্ষতা নেই। এই ধরনের সমস্যা দূর করতে এবং আগ্রহী পড়ুয়াদের ফিল্ড ওয়ার্কিংয়ে সাবলীল করে তুলতেই সংশ্লিষ্ট কোর্সটি ২০১৮ সালে শুরু করা হয়েছিল।”
কোর্স চলাকালীন ফিল্ড সার্ভে থেকে রিপোর্ট লেখা কিংবা প্রাণীদের গতিবিধির বিষয়ে বিবৃতি লেখার মতো ‘টাস্ক’ অংশগ্রহণকারীদের সম্পূর্ণ করতে হবে। তাই কিছু ক্লাস আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও করানো হবে। এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কোর্সের বিষয়ে কিছু কথা হয়েছে। গবেষণা এবং ট্রেনিংয়ের জন্য এমনিতেই বহু প্রার্থী উপস্থিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের অংশগ্রহণকারীরাও যাতে শেখার সুযোগ পান, সে ব্যবস্থা থাকবে। তবে এনক্লোজ়ারের ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।”
আগ্রহীদের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিতে হবে। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভডের নিরিখে ভর্তি নেওয়া হবে। সর্বাধিক ৫০ জনকে নিয়ে শুরু হবে ক্লাস। সশরীরে কিংবা অনলাইনে ইমেল মারফত একটি ফর্ম পূরণ করে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদনমূল্য হিসাবে ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। কোর্স ফি ৬,০০০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy