Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
UGC Letter To HEIs 2023

‘ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন’: প্রচারের আর্জি জানিয়ে উপাচার্যদের চিঠি দিল ইউজিসি

কোয়ান্টাম টেকনোলজিস অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনস বিভাগে ভারতকে আরও উন্নত করতেই শুরু হয়েছে এই বিশেষ মিশন।

Quantum Computing.

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১৩:৫৮
Share: Save:

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার তরফে ‘কোয়ান্টাম’ প্রযুক্তি নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এ বার এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের উচ্চশিক্ষা মহলকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে কলম ধরল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই মর্মে একটি চিঠি।

‘ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন’ নিয়ে আগ্রহ বাড়ানোর বার্তা জানিয়ে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি ইউজিসির।... by Saubhik Debnath on Scribd

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রের তরফে ২০২৩-২৪ থেকে ২০৩০-৩১, এই সময়সীমার মধ্যে‘কোয়ান্টাম’ প্রযুক্তির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন’, যা পরিচালিত হবে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে। মিশনের লক্ষ্য একটাই, ভারতকে ‘কোয়ান্টাম’ প্রযুক্তিতে বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।

তাই এই মিশনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রচারের আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর তরফে। কারণ এই মিশনের হাত ধরেই তৈরি হতে চলেছে চারটি থিমেটিক বা টি-হাব, যা থাকবে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণাগারগুলিতে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘কম্পিউটিং’, ‘কমিউনিকেশন’, ‘সেন্সিং অ্যান্ড মেটেরোলজি’ এবং ‘মেটেরিয়াল’ তৈরি করার কাজ শুরু হবে। এরই মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং গবেষকেরা স্বাস্থ্য,আর্থিক, যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনার কর্মসূচিতে শামিল হতে পারেন। এই মর্মে দেশের দুই হাজার কিলোমিটার এলাকায় উপগ্রহ নির্ভর সুরক্ষিত ‘কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন’ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে, যা যোগাযোগ গড়ে তুলবে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও।

ইউজিসি-র সেক্রেটারি মনীশ জোশি চিঠিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করে জানিয়েছেন, এই মিশন অতি স্পর্শকাতর ‘অ্যাটোমিক ম্যাগনোমিটার’ এবং ‘অ্যাটোমিক ক্লক’-এর উন্নতি ঘটাতে পারে, যা যথাযথ সময়, যোগাযোগ এবং দিকনির্দেশের ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। এর পাশাপাশি, ‘কোয়ান্টাম’ নির্ভর যন্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও এই মিশন কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে।

দেশকে প্রতিযোগিতামূলক স্তরে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রের সক্রিয় অবদান। তাই এই মিশনে শামিল হওয়ার বার্তা দিয়ে ইউজিসির তরফে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE